২০২৫-এর হাত ধরে এল নতুন প্রজন্ম! পূর্বসূরীদের থেকে কতটা “উন্নত” হবে “Gen Beta”?

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিরা উঠতে বসতে বলেন যে “জমানা বদলেছে”। বলা যায় এবার সেই কথাই মিলে যাচ্ছে। কারণ ২০২৫ শুরু হওয়ার সাথে সাথে জন্ম দিয়েছে নতুন একটি প্রজন্ম, যার নাম জেনারেশন বিটা (Gen Beta)। এর ফলে ১৫ বছর আগে যে প্রজন্ম শুরু হয়েছিল সেটাও এখন পুরোনো হয়েছে। ১৫ বছর আগে যে প্রজন্মকে অত্যন্ত স্মার্ট এবং আধুনিক যুগের পথ প্রদর্শক ভাবা হত, সেই ভাবনাও এখন ভুল। কারণ বর্তমান সময় যে প্রজন্ম সৃষ্টি হয়েছে তা আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে। চিন্তাধারা থেকে শুরু করে তাঁদের মনোবৃত্তি সবই অত্যন্ত স্মার্ট।

২০২৫-এ জন্ম হয়েছে নতুন প্রজন্ম জেনারেশন বিটা (Gen Beta):

২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে নতুন একটি প্রজন্ম। আর এই নতুন প্রজন্মের ফলে পিছিয়ে গেল মিলেনিয়াল এবং জেনারেশন আলফা। মিলেনিয়াল সেই প্রজন্ম, যে সময়টি ইন্টারনেট দেখেছিল। জেনারেশন আলফা হচ্ছে AI-এর প্রজন্ম। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই জেনারেশন বিটা (Gen Beta) অন্যান্য প্রজন্মের থেকে কতটা আলাদা? আগের প্রজন্মের সঙ্গে কি এই প্রজন্মের কোন মিল থাকবে?

 2025 beginning a new generation Gen Beta

জেনারেশন বিটার বৈশিষ্ট্য: জানা যাচ্ছে ২০২৫ এই যে সমস্ত শিশুরা জন্মেছে কিংবা জন্মাবে তাঁরা সকলেই জেনারেশন বিটার (Gen Beta) প্রজন্ম। আর এই বিটা অক্ষরটি ধার নেওয়া হয়েছে গ্রিক অক্ষর থেকে। তবে এই প্রজন্মের নামকরণের পিছনে রয়েছে বিশেষ কিছু কারণ। মূলত, জেনারেশন বিটার নামকরণ করা হয়েছে অতি প্রযুক্তি নির্ভরতার কথা মাথায় রেখে। আসলে, এই প্রজন্মে যাঁরাই জন্মাবেন তাঁরা সকলেই ডিজিটাল যুগকে দেখতে পাবেন। পড়াশোনা থেকে খেলাধুলা, কাজকর্ম সমস্ত কিছুই হবে ডিজিটাল ভাবে।

সমাজবিদ মার্ক ম্যাকক্রিন্ডল মনে করছেন, বিটারা নিজেদের ডিজিটাল পরিচয়কে অনেক বেশি নিরাপদ করতে পারবে। এমনকি ডিজিটাল কাজে তাঁদের ভাবনাও বেশি করে মিশে যাবে। এছাড়াও, জেন বিটা প্রজন্মের মধ্যে সবাইকে নিয়ে চলার গুণও থাকবে এমনটাই জানাচ্ছেন মার্ক। অর্থাৎ বলা যায় অন্যান্য প্রজন্মের তুলনায় জেনারেশন বিটা (Gen Beta) একটু বেশি পরিবর্তনশীল।

আরও পড়ুনঃ  স্লট বদলেও TRP তলানিতেই, নীলের বদলে নতুন নায়কের এন্ট্রি হচ্ছে ‘অমর সঙ্গী’তে!

আগের প্রজন্মগুলির ভাবধারা কেমন ছিল: প্রতিটি প্রজন্মের বিশেষত্বের দিকে নজর দিতে গেলে দেখতে হবে ১৯০১ সাল থেকে। ১৯০১-১৯২৭ পর্যন্ত ছিল গ্রেটেস্ট জেনারেশন। আর এই জেনারেশন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জন্ম। এই সময় যাঁরা জন্মেছিলেন সকলেই আর্থিক কষ্ট, দুর্ভোগ ইত্যাদির সম্মুখীন হয়। তবে যুদ্ধক্ষেত্রে তাঁরা ছিলেন পারদর্শী, ঠিক সেই কারণেই গ্রেটেস্ট জেনারেশন। ১৯২৮-১৯৪৫ অবধি সাইলেন্ট জেনারেশন অর্থাৎ এঁরা শান্তির বাহক। শান্তির জন্য যুদ্ধকে কখনোই গুরুত্ব দেননি, পাশাপাশি তাঁরা পরিশ্রম, আনুগত্য এই বিষয়কেই প্রাধান্য দেন।

এরপর ১৯৪৬-১৯৬৪, বেবি বুম জেনারেশন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে এমন সময় জন্ম। এই প্রজন্মে জন্মানো ব্যক্তিরা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির। এঁরা দেখেছেন চাঁদে পাড়ি দেওয়ার ঘটনা, সেইসাথে ভিয়েতনামের যুদ্ধও। ১৯৬৫-১৯৮০ এই সময় জন্ম হয় জেনারেশন এক্স। এই সময় মানুষেরা ছিলেন স্বাধীনচেতা, ছিল ব্যবসার প্রতি ঝোঁক। এমনকি এই প্রজন্মেই কম্পিউটরের পরিচয় হয়। এরপর ১৯৮১-১৯৯৬তে তৈরি মিলেনিয়াল প্রজন্ম। গোটা বিশ্ব এই সময় ইন্টারনেটের সঙ্গে পরিচয় হয়। ৯/১১ হামলা, রিসেশন অনেক কিছুই দেখেছে এই প্রজন্ম। বলা যায়, জেনারেশন বিটার তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে এই প্রজন্মগুলি।

আরও পড়ুনঃ  হয়ে যান সতর্ক! ২ দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘটে দেশজুড়ে চরম ভোগান্তির আশঙ্কা, সেরে রাখুন প্রয়োজনীয় কাজ

১৯৯৭-২০১০ জেনারেশন জেডের জন্ম। এই সময় সকলের স্মার্টফোন এবং সমাজ মাধ্যমের প্রতি আকর্ষণ বাড়ে। রাজনীতি থেকে সামাজিক সম্পর্ক জ্ঞান রয়েছে এই সময় জন্মানো ব্যক্তিদের। ২০১০ থেকে ২০২৪ জেনারেশন আলফা, এই সময়টি AI, স্মার্ট ডিভাইসের সাথে যুক্ত। বলা যায় প্রযুক্তির উন্নততর পর্যায় পৌঁছে যায় এই প্রজন্ম। আর এবছর ২০২৫-এ জন্ম হয়েছে জেনারেশন বিটার (Gen Beta)। যে প্রজন্মের সাথে বিস্তর ফারাক গত প্রজন্ম গুলির।

Sunanda Manna
Sunanda Manna

সুনন্দা মান্না, বাংলা হান্টের স্ক্রিপ্ট রাইটার। গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতা করার পর থেকেই সংবাদ মাধ্যমে কাজ শুরু। দেশ থেকে বিদেশ, রাজনীতি, বিনোদন বিভিন্ন তথ্যই আপনাদের কাছে তুলে দেওয়া আমার মূল লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর