বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছরের শুরুতেই এল দুঃসংবাদ। যা হয়ত এখনও বিশ্বাসই করে উঠতে পারছে না ফসিলসের (Fossils) অনুরাগীরা। এই ব্যান্ডের প্রাক্তন সদস্য চন্দ্রমৌলি বিশ্বাস (Chandramouli Biswas) আর নেই! ১২ই জানুয়ারি কল্যাণীতে বাংলা ব্যান্ড ফসিলস যখন বঙ্গ সংস্কৃতি উৎসবে পারফর্ম করতে চলেছে তখনই এল দুঃসংবাদ। বন্ধু বিয়োগের খবর পেয়ে ভেঙে পড়েছেন খোদ রূপম ইসলাম।
ফসিলস ব্যান্ডের প্রাক্তন সদস্যের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
মধ্য কলকাতার ইন্ডিয়ান মিরর স্ট্রিটে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন চন্দ্রমৌলি। রবিবার সেখান থেকেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। এদিন তাঁর বাবা-মা আমন্ত্রণ রক্ষায় বাইরে গিয়েছিলেন।ফসিলসের (Fossils) বেসিস্টের ঝুলন্ত দেহ প্রথম দেখতে পান তাঁর বর্তমান ব্যান্ড সঙ্গী মহুল চক্রবর্তী। রবিবার চন্দ্রমৌলির বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন মহুল। সকাল থেকে ফোন করে খোঁজ না পেয়ে চিন্তিত হয়েই এক বন্ধুকে নিয়ে তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন চন্দ্রমৌলির বাড়িতে। সেখানে গিয়ে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখা মাত্রই স্থানীয় থানায় ফোন করেন শিল্পী। ইতিমধ্যেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৮ বছর। ১৯৭৬ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন চন্দ্রমৌলি। ইঞ্জিনিয়ারের কেরিয়ার ছেড়ে সঙ্গীতকেই পেশা বানিয়েছিলেন তিনি। ২০০০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত, একটানা ১৮ বছর ফসিলস ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জানা যাচ্ছে, ২০১৮ সালে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কারণের জন্যই নাকি ফসিলস (Fossils) ছাড়েন চন্দ্রমৌলি। বর্তমানে গোলক এবং জম্বি কেজ কন্ট্রোল নামের দুই ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘গৌরী’র নায়ক এবার রোম্যান্স করবেন দেবের প্রেমিকার সঙ্গে! বড়পর্দায় ডেবিউ করছেন বিশ্বরূপ
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন চন্দ্রমৌলি। তাঁর বন্ধু ও পরিজনরা জানিয়েছেন গত কয়েক বছর ধরেই নাকি তাঁর হাতে তেমন কাজ ছিল না। অর্থনৈতিক সংকটেও ভুগছিলেন তিনি। অন্যদিকে ডিপ্রেশনের জন্য চিকিৎসাও চলছিল তাঁর।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, চন্দ্রমৌলির ঘর থেকে যে সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে, তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। শিল্পীর মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানোর পাশাপাশি সুইসাইড নোটের হাতের লেখার সঙ্গে চন্দ্রমৌলির আগের লেখাও মিলিয়ে দেখছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা।