বড় খবর! তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন! সংক্রান্তিতে তোলপাড় বাংলা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুলাল সরকার খুনের রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই ফের রাজ্যে খুন এক তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা। আবারও মালদহে এই ঘটনা ঘটেছে। এবার ঘটনাস্থল কালিয়াচক। প্রকাশ্যে গুলি চালানোর এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতাকে গুলি করে খুনের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য!

স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে মালদহের (Malda) কালিয়াচকের নয়া বস্তি অঞ্চলে নিকাশি ও রাস্তা উদ্বোধনের একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে হাজির হয়েছিলেন কালিয়াচক ১ নং ব্লকের নওদা যদুপুর অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেস অঞ্চল সভাপতি বকুল। সেখান থেকে ফেরার সময় আচমকাই কয়েকজন দুষ্কৃতী হামলা চালায় বলে অভিযোগ। প্রথম বচসা, এরপর গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে বলে খবর।

ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে (সেটির সত্যতা যাচাই করেনি বাংলা হান্ট)। সেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রথমে একজনের ওপর গুলি চালানো হয়। তারপর কয়েকজন মিলে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে তাঁর খুন করেন।

আরও পড়ুনঃ ‘শাহি মন্ত্রকে’র পরামর্শ! জেলে মোবাইল ব্যবহার রুখতে এবার কড়া পদক্ষেপ কারা দফতরের

এদিকে মালদহে শ্যুট আউটের এই ঘটনায় জখম তৃণমূলের (Trinamool Congress) অঞ্চল সভাপতি বকুল এবং তাঁর ভাই তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান এসারুদ্দিন শেখ ওরফে রাজু। অন্যদিকে মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম হাসু শেখ। তাঁর বাড়ি শুকদেবপুর অঞ্চলে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন এসডিপিও কালিয়াচক, কালিয়াচক থানার আইসি ও মালদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বাড়তি পুলিশ বাহিনী।

trinamool congress tmc flags Sandeshkhali Sheikh Shahjahan

আজ তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা বকুলদের ওপর কারা হামলা চালাল, কেন গুলি চালানো হল সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে বকুলের অভিযোগ, আরেক স্থানীয় তৃণমূল নেতা জাকির শেখের দিকে। জানা যাচ্ছে, ২০১৬ সাল থেকে বকুল ও জাকিরের মধ্যে ‘এলাকা দখলের লড়াই’। এর আগেও গুলি, বোমা, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। একদা কংগ্রেসের সদস্য জাকির গত লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূলে নাম লেখায়। এরপর এলাকায় ফের নতুন করে প্রভাব বিস্তারের লড়াই শুরু হয় বলে খবর।

প্রকাশ্য দিবালোকে তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার ওপর হামলার এই ঘটনায় স্থানীয় বিধায়ক আব্দুল গনি বলেন, ‘ওখানে একটা অন্তঃদ্বন্দ্ব চলছে। সেই সঙ্গেই ওখানে পঞ্চায়েত সমিতির নেতার মৃত্যু হয়েছে। বকুল অঞ্চলের নেতা। ভীষণ প্রভাব। জাকিরের সঙ্গে ওঁর সমস্যা ছিল। আসল মাথা সেরিউল শেখ। মালদায় ক্রাইম ছিল না। সেটা এখন বেড়ে যাচ্ছে। এসপিকে কেন বদলানো হচ্ছে না? গত লোকসভা থেকে ব্লক সভাপতি আমার কথা শোনে না। সুব্রত বক্সীকেও আমি জানিয়েছিলাম। কে কত বেশি রসদ সংগ্রহ করে? আমার এসপির ভূমিকা পছন্দ নয়। ওনার অপরাধী দমনের ভূমিকা খুব কম। পুলিশ অনেক কিছু জানে? কী অ্যাকশন নেয়? বহু সময় এফআইআর নিতে চায় না’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর