বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২০ সালের করোনা মহামারীর সময় থেকেই ডিকশনারিতে নতুন করে যোগ হয়েছে ‘ভার্চুয়াল’ শব্দটা। বিশেষ করে কর্ম ক্ষেত্রে এই ভার্চুয়াল মাধ্যমের বিস্তার ঘটেছে ব্যাপক। অতিমারী পর্বের পর থেকে আদালতেও বহু মামলার শুনানি হয়েছিল ভার্চুয়াল মাধ্যমে। সেই থেকে কলকাতা হাইকোর্টেও (Calcutta High Court) ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানি হয়েছে বহু মামলার।’
ভার্চুয়াল শুনানি বন্ধের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)
ভার্চুয়াল শুনানিতে আইনজীবীরা সশরীরে উপস্থিত না হয়েও শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে পারতেন। কিন্তু ভার্চুয়াল শুনানিতে ইতিপূর্বে একাধিকবার আইনজীবীদের অংশগ্রহণ নিয়ে অসন্তুষ্ট হয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এবার কলকাতা হাইকোর্টে ভার্চুয়াল শুনানি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ (Tirthankar Ghosh)।
জাস্টিস ঘোষের দাবি আইনজীবীরা ভার্চুয়াল শুনানিতে শিষ্টাচার মানছেন না। তাই এবার থেকে তাঁর বেঞ্চে আর কোনো ভার্চুয়াল শুনানি হবে না। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এপ্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘কয়েকজন আইনজীবীর খারাপ আচরণের জন্য ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানি আমি বন্ধ রাখছি। শিষ্টাচার মানছেন না কেউ।
আরও পড়ুন: DA নিয়ে টানাপড়েন চলছে! এর মাঝেই বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বড় খবর! জোর শোরগোল
ভার্চুয়াল শুনানি শোনার অভিজ্ঞতার কথাও এদিন জানালেন তিনি। বিচারপতি ঘোষের কথায়, ‘বাসে যেতে যেতে কেউ শুনানি করছেন। আবার কেউ শুনানির সময় এমন জায়গায় বসে থাকছেন যেখানে হৈ-হট্টগোল হচ্ছে। সেই সব শব্দ-ও শোনা যাচ্ছে’। এছাড়া তিনি জানিয়েছেন কোন একজন আইনজীবী ব্যারাকপুর কোর্টে বসে এখানে মামলা করছেন। পিছন থেকে আসছে অপশব্দ। তাই সমস্ত দিক বিচার-বিবেচনা করে এই কোর্টে ভার্চুয়াল শুনানি বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রেজিস্টার জেনারেলকে।
প্রসঙ্গত ভার্চুয়াল শুনানিতে আইনজীবীদের অংশগ্রহণ নিয়ে এর আগেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। সাধারণত আদালতে প্রত্যেক আইনজীবীদের জন্যই নির্ধারিত পোশাক অর্থাৎ গাউন থাকে। ভার্চুয়াল শুনানিতে সেই নির্দিষ্ট পোশাক না পরেই অংশ নিতে দেখা যায় অনেক আইনজীবীকে। যার জন্য ২০২৩ সালে হাই কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিলেন এক আইনজীবি। এমনকি ভার্চুয়াল শুনানি চলাকালীন তৎকালীন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এমভি রাজুকেও গাউন পরতে বাধ্য করেছিলেন তিনি।