বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত ৯ আগস্ট ওলটপালট হয়ে গিয়েছে তাঁদের জীবন। ওইদিনই আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ। ধর্ষণ খুনের এই ঘটনায় আগামী ১৮ জানুয়ারি রায় ঘোষণা করবে শিয়ালদহ আদালত। তার আগে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হলেন নির্যাতিতার বাবা-মা।
কোন দাবিতে শীর্ষ আদালতে আরজি করের (RG Kar Case) নির্যাতিতার বাবা-মা?
আরজি কর ধর্ষণ হত্যাকাণ্ড নিয়ে গত আগস্ট মাস থেকে উত্তাল বাংলা। এই ঘটনায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। ৯০ দিনের মধ্যে সিবিআই (CBI) চার্জশিট দিতে ব্যর্থ হওয়ায় জামিন পেয়ে যান দু’জনে। এরপরেই নানান মহল থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতার বাবা-মা।
নিহত চিকিৎসক পড়ুয়ার মা-বাবা বলেন, ‘তদন্তের নামে তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিচারপর্ব শুরু হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। আদালত এখনই হস্তক্ষেপ না করলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে’। এবার আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) রায় ঘোষণার দু’দিন আগে সিবিআই তদন্তে অনাস্থা প্রকাশ করে সোজা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে! এবার মেনে নিলেন খোদ অভিষেক! কী বললেন TMC সেনাপতি?
তিলোত্তমার মা-বাবার অভিযোগ, তদন্ত সঠিক পথে হচ্ছে না। ঘটনার সঙ্গে আরও অনেক মাথা জড়িত। শীর্ষ আদালতে আরজি করের নির্যাতিতার মা-বাবার হয়ে মামলা লড়বেন আইনজীবী করুণা নন্দী। জানা যাচ্ছে, সিবিআই তদন্তে আস্থা নেই। তদন্তকারী সংস্থার বদলের আবেদন নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে গিয়েছেন আরজি করের নিহত চিকিৎসক পড়ুয়ার মা-বাবা।
উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) প্রথমে তদন্ত করছিল কলকাতা পুলিশ। মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টা হতে না হতেই সঞ্জয় রায় নামের এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছিল তারা। পরবর্তীতে সিবিআইয়ের চার্জশিটেও এই সঞ্জয়কেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে দাবি করা হয়। আগামী ১৮ জানুয়ারি এই মামলায় রায় ঘোষণা করবে শিয়ালদহ আদালত। তার আগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন নির্যাতিতার বাবা-মা।