বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রকাশ্যে এল ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত একটি বড়সড় আপডেট। কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) তরফে পাঁচটি ব্যাঙ্কের QIP মঞ্জুর করা হল। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা দরকার, QIP শব্দের অর্থ কোয়ালিফায়েড ইনস্টিটিউশনাল প্লেসমেন্ট। এর মাধ্যমে কোনও সংস্থা ঘরোয়া বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে পারে। দরকার হয় না মার্কেট রেগুলেটর সেবি’র অনুমোদনেরও।
কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) নয়া সিদ্ধান্ত
আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না হলেও সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, বাজার থেকে এখন তারা ২ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত তুলতে পারে। জানা যাচ্ছে, চলতি ত্রৈমাসিকেই সংশ্লিষ্ট পাঁচটি ব্যাঙ্ক ছোট কিস্তিতে ফান্ড সংগ্রহের কাজ শুরু করতে চলেছে। এই পাঁচটি ব্যাঙ্কের মধ্যে রয়েছে ইউকো ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং পঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাঙ্কের নাম।
ইতিমধ্যেই এই ব্যাঙ্কগুলিকে (Bank) শেয়ার বিক্রি করার আদেশ দিয়েছে ডিপার্টমেন্ট অফ ডিসইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট (ডিআইপিএএম) অফার ফর সেল (ওএফএস)। প্রসঙ্গত, ২০২৬ সালের অগাস্টের মধ্যে এই পাঁচটি পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কে সরকারের শেয়ারহোল্ডিং কমপক্ষে ২৫ শতাংশ থাকবে।
আরোও পড়ুন : ISRO-র হাত ধরে ফের তৈরি ইতিহাস! মহাকাশে “আলিঙ্গন” দুই স্যাটেলাইটের, নজির গড়ল ভারত
এককথায় বলা যায়, কিউআইপি হল বাজার থেকে টাকা তোলার সহজ এবং সাশ্রয়ী পদ্ধতি। শেয়ারের সঠিক মূল্যায়নের কারণে এক্ষেত্রে লাভ হয় বিনিয়োগকারীদেরও। নিয়ম অনুযায়ী, QIP’র জন্য কোনও কোম্পানি তার মতো শেয়ারের দাম নির্ধারণ করতে পারে। সাধারণত এই দাম ২ সপ্তাহের গড় দামের চেয়ে বেশিই হয়।
আরোও পড়ুন : স্যালাইন কাণ্ডের জের! আজই বড় পদক্ষেপের পথে ‘ক্ষুব্ধ’ মমতা! কি ঘটতে চলেছে?
সূত্রের খবর, কেন্দ্রের (Central Government) অংশীদারিত্ব রয়েছে পঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাঙ্কে ৯৮.২৫ শতাংশ, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্কে ৯৬.৩৮ শতাংশ। এছাড়াও, ইউকো ব্যাঙ্কে ৯৫.৩৯ শতাংশ, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় ৯৩.০৮ শতাংশ এবং ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্রে ৭৯.৬ শতাংশ সরকারি শেয়ার আছে। এই পাঁচটি ব্যাঙ্কে প্রায় ৫০,০০০ কোটি টাকা সরকারের অতিরিক্ত শেয়ারহোল্ডিং।
শেষ মুহূর্তের আপডেট অনুযায়ী, পঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে ৪৬.৬০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্কের শেয়ার বেড়েছে ১৬.৮৫ শতাংশ। ১৪.৯৪ শতাংশ বেড়েছে ইউকো ব্যাঙ্কের শেয়ার। অন্যদিকে, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার শেয়ার ১৮.৯৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্রের শেয়ারেও ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে।