বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। দলের অন্দরে অন্তর্বিরোধের জেরেই এমন সিদ্ধান্ত বলে দাবি। তবে পদত্যাগের পর থেকে জল্পনা উঠেছে ট্রুডোর উত্তরসূরি কে হবেন? এই নিয়েই চলছে জোর জল্পনা। তাঁর উপর সামনেই নির্বাচন, অর্থাৎ কানাডায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হওয়া নিয়ে এখন ঘোরতর জটিলতা। আর এরই মাঝে বিরাট খবর শোনালেন জাস্টিন ট্রুডো। তারপর থেকেই যেন আন্তর্জাতিক স্তরে এই নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।
জাস্টিন ট্রুডোর (Justin Trudeau) বিরাট ঘোষণা:
গত বছর ডিসেম্বর মাস থেকেই ট্রুডো (Justin Trudeau) প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেবেন এমন জল্পনা শোনাই যাচ্ছিল। আর সেই জল্পনাই সত্যি হল জানুয়ারি মাসে। তবে ইস্তফা দেওয়ার পরও তিনি থেমে থাকেননি। এরই মাঝে নিলেন এক বিরাট সিদ্ধান্ত। তিনি জানিয়েছেন, পরবর্তী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। সেইসাথে রাজনীতি থেকেও ইতি টানতে চলেছেন এমন ইঙ্গিতও মিলেছে। আসন্ন নির্বাচনে নিয়েই গত বুধবার নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান ট্রুডো।
জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau) বলেন, “আসন্ন নির্বাচনে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব না। আমি একক ভাবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” এরপরই তিনি বলেন, “সত্যি বলতে এরপরে আমি কী করব, তা ভাবার জন্য খুব একটা সময় এত দিন পাইনি। কানাডাবাসী যে কারণে আমাকে নির্বাচিত করেছিলেন, সেই কাজটাই এত দিন আমি মন দিয়ে করে গিয়েছি।” রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন এই বিষয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য না করলেও, রাজনীতির পর কী করবেন সেকথা তিনি ভেবে দেখেননি এমনটা জানান। আর এখান থেকেই যেন হালকা আভাস মিলেছে। তাতেই জল্পনা বাড়তে শুরু করে।
আরও পড়ুনঃ সামনে এল NIRF র্যাঙ্কিং! ভারতের শীর্ষ ১০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান পেল বাংলার এই ইউনিভার্সিটি
ইস্তফা দিলেও এখনও তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করে চলছেন। আসলে কানাডার আইনসভার রীতি অনুসারে, এই পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন দল পরবর্তী নেতা নির্বাচনের জন্য আগামী ৯০ দিন সময় পাবেন। আর সেই নিয়মানুসারে, এখনই তিনি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিচ্ছেন না। আগামী উত্তরসূরির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরই জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau) নিজের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেবেন।
আরও পড়ুনঃ সাত সকালে ED-র চিরুনি তল্লাশি! ৬০০০ কোটি টাকার জালিয়াতি মামলায় হানা বেহালা-হাওড়ায়
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে কানাডার পার্লামেন্টে লিবারেল পার্টি তৃতীয় স্থানে যাওয়ার পরই দলের ভার নিজের কাঁধে নেন তিনি। ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন। টানা ৯ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলিয়েছেন ট্রুডো (Justin Trudeau)। আর আসন্ন নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। তবে ঠিক কী কারণে নিয়েছেন সে বিষয়ে স্পষ্ট না হলেও জানা যায়, ঘরে বাইরে চাপের কারণেই এই সিদ্ধান্ত। এমনকি কানাডার প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডর সঙ্গে সংঘাতকেও এই সিদ্ধান্তের অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এখন প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে তিনি কী সত্যি রাজনীতি থেকে বিদায় নিচ্ছেন?