বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১৮ জানুয়ারি, শনিবার আরজি কর মামলার (RG Kar Case) রায় ঘোষণা করবে শিয়ালদহ আদালত (Sealdah Court)। এই মামলার মূল অভিযুক্ত ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের (Sanjay Roy) জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই জানা যাবে আদালতের রায়। তার আগে জেলের মধ্যে কীভাবে সময় কাটছে সঞ্জয়ের? এবার জানা গেল সেই তথ্য।
আরজি কর মামলার (RG Kar Case) রায় ঘোষণা হতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা!
গত ৯ আগস্ট আরজি করের জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল মহিলা চিকিৎসক পড়ুয়ার মৃতদেহ। এরপর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। পরবর্তীতে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দেওয়া চার্জশিটেও শুধুমাত্র নাম ছিল সঞ্জয়ের। জানা যায়, ধর্ষক, খুনি হিসেবে তাঁর কথাই উল্লেখ করেছেন গোয়েন্দারা।
এবার জানা যাচ্ছে, আরজি কর মামলার (RG Kar Case) রায় ঘোষণার আগে সঞ্জয়কে একটি বিশেষ সেলে রাখা হয়েছে। তিনি নাকি ইতিমধ্যেই খাওয়াদাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন। ওষুধও মুখে তুলতে চাইছেন না। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। সেখানে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেল আধিকারিককে উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, সঞ্জয়ের সেলে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ মাঘেই জাঁকিয়ে ঠাণ্ডা বাংলায়? কনকনে শীত পড়বে কবে? বড় আপডেট দিল হাওয়া অফিস
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, শিয়ালদহ আদালতের রায়দানের দিনক্ষণ যত এগিয়ে আসছে, ততই সঞ্জয়ের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন চোখে পড়ছে। খাওয়াদাওয়া প্রায় ছেড়ে দিয়েছেন, রোজকার যে সকল ওষুধপত্র চলে, সেগুলিও নাকি খাচ্ছেন না।
প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামীকাল আরজি কর মামলায় শিয়ালদহ আদালত কী রায় ঘোষণা করতে পারে তার কথা চিন্তা করে এই মামলার মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় নিজেকে কার্যত একা করে ফেলেছেন। এই বিষয়ে জেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, আরজি কর মামলায় (RG Kar Case) সিবিআইয়ের দেওয়া চার্জশিটের ভিত্তিতে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয় গত ১১ নভেম্বর। ১৮ জানুয়ারি এই মামলার রায় ঘোষণা করবে শিয়ালদহ আদালত। তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে অভিযুক্ত সঞ্জয়ের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানানো হয়েছে। এমতাবস্থায় আদালতের তরফ থেকে কী রায় দেওয়া হয় সেদিকেই নজর সকলের।