বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সব ঠিক থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই শুরু হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বাজেট অধিবেশন (West Bengal Budget)। নবান্ন সূত্রে খবর আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে দু সপ্তাহ চলবে অধিবেশন। তার আগে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট পেশ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। প্রথমে মনে করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করার কয়েক দিনের মধ্যেই রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হয়ে যাবে। সেইভাবেই শুরু হয়েছিল প্রস্তুতি। কিন্তু বছর ঘুরলেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এটাই রাজ্য সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। তাই একটু সময় নিয়ে দেখেশুনেই বাজেট পেশ করতে চান মুখ্যমন্ত্রী। আর এই কারণেই কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ হওয়ার পর এই অতিরিক্ত সময় নেওয়া হচ্ছে।
ফেব্রুয়ারিতেই পেশ হতে পারে মমতার সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট (West Bengal Budget)
নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী কয়েক দিন জেলা সফরের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে মুখ্যমন্ত্রী চান তাঁর সফর শেষ হওয়ার পরেই এই বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হোক। তাই তাঁর কথা মতোই এবার অর্থদপ্তর এবং বিধানসভা পারস্পরিক সমন্বয়ের ভিত্তিতে বিধানসভার বাজেট অধিবেশন (West Bengal Budget) শুরু হতে পারে। রাজ্যের প্রশাসনিক মহলের একাংশের কথায় এবছরের বাজেটে বেশ কিছু নতুন প্রকল্প ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও রূপশ্রী, কন্যাশ্রী, লক্ষ্মী ভান্ডারের মতো প্রকল্পগুলিতেও অতিরিক্ত সংযোজন হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
রাজ্যের বাজেটের (West Bengal Budget) ক্ষেত্রে গুরুত্ব পেতে চলেছে আরও একটি বিষয়। এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটের রাজ্যের জন্য বরাদ্দ কেমন থাকছে সেই বিষয়টি দেখে নিয়েই রাজ্য সরকার বাজেট পেশ করতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও রাজ্য সরকারের কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার বিষয়টিও ভাবনায় রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: আবাসের চূড়ান্ত তালিকায় নাম উঠেও শান্তি নেই! একধাক্কায় বাদ গেল প্রায় আড়াই হাজার নাম
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার অষ্টম পে কমিশন ঘোষণা করার পর কেন্দ্রীয় এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন ও মহার্ঘ ভাতার মধ্যে পার্থক্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন গুলির মধ্যেও ক্ষোভ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রসঙ্গত ভোটের কাজে এই সরকারি কর্মচারীদের ভূমিকা থাকে গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রশাসনের একাংশ মনে করছে এবারের রাজ্য বাজেটে তাদের জন্য অতিরিক্ত কিছু ভাবতেই হবে রাজ্য সরকারকে।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ৫৩ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন। অথচ সেখানে পশ্চিমবঙ্গের কর্মচারীরা পাচ্ছেন মাত্র ১৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা। কদিন আগেই কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের বেতনে এই উল্লেখযোগ্য ফারাকের কথা তুলে ধরেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপরেই এবার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পাওনা নিয়ে নতুন করে ভাবতে বসেছেন নবান্ন। এই কারণেই আসন্ন নির্বাচনের আগে তাদের জন্য সুরাহা করা প্রয়োজন বলে মনে করছে রাজ্য প্রশাসনের একাংশ। তাই এবার হাতে এই অতিরিক্ত সময় নিয়েই দেখে শুনেই ২০২৫-২৬ সালের বাজেট তৈরি করতে চলেছে রাজ্যের অর্থ দপ্তর।