বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর মে মাসে ২০১০ সালের পর থেকে অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায় ভুক্তদের দেওয়া সব শংসাপত্র বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court OBC Verdict)। ক্ষমতায় আসার পর থেকে ৭৭টি পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়কে ওবিসির তালিকাভুক্ত করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে এক ধাক্কায় ৫ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হয়ে যায়। উচ্চ আদালতের সেই রায়ের বিরোধীতা করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। আদালতে সেই মামলা বিচারাধীন থাকায় রাজ্যের কয়েক লক্ষ তরুণ তরুণীর চাকরি আটকে রয়েছে বলে এবার সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
গত মঙ্গলবার মালদহের ইংরেজ বাজারের সরকারি পরিষেবা অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যারা ওবিসিতে আছেন, জানি তাদের একটু কষ্ট হচ্ছে। কোর্টের রায়ে সব আটকে রয়েছে। কিন্তু মনে রাখবেন, আমরা কিন্তু থেমে নেই। সুপ্রিম কোর্টে আমরা বড় বড় আইনজীবী দিচ্ছি যাতে সুরাহা হয়। কোর্টের এই একটা রায়টা বেরোনোর পর আমাদের অনেক চাকরি আটকে গেছে। যতক্ষণ না এগুলো হচ্ছে আমি চাকরি দিতে পারছি না।”
ক্ষমতায় আসার পর সরকারি চাকরিতে ওবিসিদের জন্য ১৭ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করেছিল রাজ্য সরকার। এর বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। এরপরই এই মামলায় রাজ্যের সংরক্ষণ নির্দেশ বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট। পর্যবেক্ষণে আদালত জানিয়েছিল, ‘ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ করা যায় না’। এই একই পর্যবেক্ষণ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টও।
আরও পড়ুন: ‘বডি তুলে তাড়াতাড়ি..’ যা নির্দেশ দিয়েছিলেন খোদ সন্দীপ ঘোষ! বিস্ফোরক তথ্য সামনে
এদিকে এ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “জেনারেল কাস্টের কোটা কেটে আমি ওবিসিদের জন্য ১৭ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করিনি। এক্সট্রা টাকা দিয়ে এক্সট্রা সিটের ব্যবস্থা করেছি।” এই সংরক্ষণ নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের জেরে প্রায় ২ থেকে ৩ লক্ষ চাকরি আটকে রয়েছে বলে জানান মমতা। তবে এজন্য চাকরি প্রার্থীরা যাতে আশাহত না হন সেকথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।