বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত ৯ আগস্ট থেকে আরজি কর ধর্ষণ খুন কাণ্ড (RG Kar Case) নিয়ে উত্তাল বাংলা। ইতিমধ্যেই এই মামলায় প্রাক্তন সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের সাজা ঘোষণা করেছে শিয়ালদহ আদালত (Sealdah Court)। এরপর থেকেই প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, ঘটনার ২ দিন আগে মত্ত অবস্থায় এক ব্যক্তি তরুণী চিকিৎসকের কাছে চলে এসেছিলেন। সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে শুনানি চলার সময় গোলাম আজম নামের একজন হাউস স্টাফ এই বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
আরজি করের (RG Kar Case) বেঞ্চে শুয়েছিলেন এক ‘রহস্যময়’ ব্যক্তি?
জানা যাচ্ছে, ঘটনার ২ দিন আগে তরুণী চিকিৎসক রাতে যখন বিশ্রাম নিচ্ছিলেন, সেই সময় তাঁর কাছে মত্ত অবস্থায় এক ব্যক্তি চলে আসেন। অভিযোগ, এই বিষয়ে চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধানের কাছে অভিযোগও জমা পড়ে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এটা নিয়ে কোনও তদন্ত হয়নি। এর ঠিক দু’দিন পরেই ঘটে যায় ধর্ষণ খুনের ঘটনা।
গোলাম আজম নামের সেই হাউস স্টাফের বয়ান অনুযায়ী, ঘটনার ২ দিন আগে চেস্ট মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের সেমিনার রুমে রাতের বেলায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তরুণী চিকিৎসক (RG Kar Case)। সেই সময় এক মত্ত ব্যক্তি সেখানে ঢুকে পড়েন বলে অভিযোগ। এই নিয়ে তরুণী চিকিৎসক প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধানের কাছে অভিযোগও জমা পড়েছিল। তবে বিষয়টি আর বেশিদূর এগোয়নি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাব দিলে? এবার রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন এই জনপ্রিয় নায়িকা?
৮ আগস্ট রাতে কী ঘটেছিল সেটাও জানিয়েছেন গোলাম। তিনি বলেন, সেই রাতে চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রসিডিওর রুমের বেঞ্চে একজন বহিরাগত ব্যক্তি শুয়ে ছিলেন। সেই বিষয়ে তিলোত্তমাকে জানিয়েছিলেন তিনি। এরপর তিলোত্তমা এক গ্রুপ ডি কর্মীকে ডেকে বলেন সেই ব্যক্তিকে সেখান থেকে চলে যেতে। এখন প্রশ্ন উঠছে, সেই ব্যক্তি কে? তদন্তকারীরা এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন বলে জানা যায়নি। রায়ের প্রতিলিপি থেকেই এমনটা জানা যাচ্ছে।
এছাড়াও ৮ আগস্ট রাতের ঘটনাপ্রবাহও আদালতে সামনে তুলে ধরেন হাউস স্টাফ গোলাম আজম। প্রথম বর্ষের পিজিটি অর্ক সেনও ঘটনার রাতের বিশদ বিবরণ তুলে ধরেন (RG Kar Case)। তবে জানা যাচ্ছে, দু’জনের ঘটনাপ্রবাহে কিছু পার্থক্য রয়েছে। পাশাপাশি মাথাচাড়া দিয়েছে বেশ কিছু প্রশ্নও।