বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আদিবাসী মহিলার শ্লীলতাহানি ও অসম্মানের অভিযোগ সংক্রান্ত একটি মামলা চলছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। সেই মামলাতেই অভিযুক্তদের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল আদালত। আইন অনুযায়ী তফশিলি উপজাতির ক্ষেত্রে জাত তুলে অসম্মান করার অভিযোগ দায়ের হলে অভিযুক্তকে আগাম জামিন দিতে পারে না আদালত। তবে এক্ষেত্রে আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে।
কি বক্তব্য হাইকোর্টের- Calcutta High Court
তফশিলি উপজাতিভুক্ত অভিযোগকারিণী বিয়ে করেছিলেন এক বিবাহিত মুসলিম পুরুষকে। বিয়ের সময় ওই ব্যক্তির আগের পক্ষের স্ত্রী এবং দুই সন্তান ছিল। সবটা জেনেই বিয়ে করেছিলেন ওই মহিলা। বিয়ের পর নিজের ধর্ম পরিবর্তনের পাশাপাশি নামও পরিবর্তন করেন। এদিকে ২০২১ সালে তার স্বামী মারা যান। এরপরই শুরু হয় ঝামেলা। সম্পত্তির ভাগ নিয়ে প্রথম পক্ষের সাথে অশান্তি চলতে থাকে।
অভিযোগকারিণী ওই মহিলার দাবি, পারিবারিক অশান্তির জেরে তার শ্লীলতাহানি করা হয়। তাকে ‘নিচু জাতের’ বলে অসম্মানও করেন আগের পক্ষের দুই ছেলে। এই ইস্যুতে গত বছর বহরমপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার সময়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগও তোলেন তিনি। সেই নিয়ে বয়ান দেন।
আরও পড়ুন: রক্ষা নেই! এবার সঞ্জয়ের ফাঁসি হবেই? কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল খোদ CBI
এরপরই আগাম জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন আগের পক্ষের দুই ছেলে। মামলা উঠলে অভিযুক্তদের আইনজীবীর দাবি, আদিবাসী পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও, মহিলা পরে মুসলিমকে বিয়ে করে নিজের ধর্ম পরিবর্তন করেন। নিজেকে মুসলিম বলে পরিচয় দেন। মুসলিমদের ধর্মীয় আচার মেনে চলেন তিনি। তাই মুসলিম হয়ে আগের পরিচয়ে তিনি রক্ষাকবচ পেতে পারেন না। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে হাইকোর্ট।