বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সরকারি চাকরির (Government Job) একাধিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। ডিএ (Dearness Allowance) থেকে শুরু করে নানান ভাতা পান সরকারি কর্মীরা (Government Employees)। এবার যেমন নতুন বছরের শুরুতেই তাঁদের বড় সুখবর দিল রাজ্য সরকার। বিগত কয়েকদিন ধরেই সরকারি কর্মীদের অবসরের বয়স বৃদ্ধি সংক্রান্ত জল্পনা কল্পনা চলছে। অবশেষে অবসরের বাড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
‘এই’ সরকারি কর্মীদের (Government Employees) অবসরের বয়স বাড়াল সরকার!
সাধারণত ৬০ বছর হয়ে গেলেই সরকারি কর্মীদের চাকরি জীবনে ইতি পড়ে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেই বয়সটা একটু বেশি। যদিও অবসরের পরেও বহু বিভাগে অতিরিক্ত কাজ চালিয়ে যাওয়া যায়। এই আবহে এবার এবার একধাক্কায় অবসরের বয়স ৩ বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী নিজে একথা ঘোষণা করেছেন।
গত সোমবার এই সুখবর দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মোহন যাদব। সেদিন ভোপালের কুশিলাল আয়ুর্বেদিক সংস্থানে ‘আয়ুর্বেদ মহাপর্ব ২০২৫’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে আয়ুর্বেদ চিকিৎসার গুরুত্ব নিয়ে বেশ কিছু কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গেই আয়ুষ বিভাগে কর্মরত সরকারি চিকিৎসকদের (Government Employees) অবসরের বয়সসীমা আরও ৩ বছর বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুনঃ কখন মৃত্যু হয়েছিল তিলোত্তমার? সঞ্জয় তখন আদৌ আরজি করে ছিল? প্রকাশ্যে বিরাট তথ্য
বর্তমানে আয়ুষ বিভাগে কর্মরত চিকিৎসকদের অবসরের বয়স (Retirement Age) হল ৬২ বছর। সেটিকে আরও ৩ বছর বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। অর্থাৎ এবার তাঁদের অবসরের বয়স হল ৬৫ বছর। তাঁর এই ঘোষণার ফলে মুখে হাসি ফুটেছে রাজ্যের সেই সরকারি চিকিৎসকদের।
এদিন আয়ুর্বেদ চিকিৎসার প্রচুর প্রশংসা করেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। ডঃ মোহন যাদব বলেন, কেউ যদি একবার আয়ুর্বেদ শিখে নেয়, তাহলে সে আর অন্য কিছুতেই বিশ্বাস করবে না। ৪০০০ বছর পুরনো একটি রীতি হল আয়ুর্বেদ। যে বিষয়ে জানতে আজ সম্পূর্ণ বিশ্ব আগ্রহী। খোদ প্রধানমন্ত্রী নিজে যোগবিদ্যার অ্যাম্বাস্যাডর। সমগ্র বিশ্বে আয়ুর্বেদ ও যোগকে স্বীকৃত দিয়েছেন তিনি নিজে।
এই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই আয়ুষ বিভাগে কর্মরত সরকারি চিকিৎসকদের (Government Employees) অবসরের বয়স ৬২ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬৫ বছর করার কথা ঘোষণা করেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে বলেন, মেডিক্যাল কলেজ কিংবা নার্সিংহোমের জন্য এবার আয়ুষ বিভাগের তরফ থেকেই অনুমতি প্রদান করা হবে। আর স্বাস্থ্য দফতরে যেতে হবে না।