জমে গেল খেলা! এবার বিড়লাকে চ্যালেঞ্জ জানালেন আদানি! ব্যাপারটা কী?

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতের নামীদামী শিল্প সংস্থারগুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আদানি গ্রুপ  এবং আদিত্য বিড়লা গ্রুপ। প্রতিদ্বন্দ্বিতার বাজারে হামেশাই এই দুই সংস্থার সঙ্গে টক্কর লেগেই থাকে। আর এবার ফের আদিত্য বিড়লা গ্রুপের সঙ্গে লড়াইয়ে দেশের অন্যতম শিল্পপতি গৌতম আদানি (Gautam Adani)। তবে এবার আর সিমেন্ট নিয়ে নয়, বরং তামার সাম্রাজ্যের আধিপত্য দখল করতে দুই শিল্প গোষ্ঠী নেমেছে ময়দানে।

আদিত্য বিড়লা গ্রুপের সঙ্গে লড়াই গৌতম আদানির (Gautam Adani):

গত বছর মার্চ মাসে গুজরাটের মুন্দ্রায় একটি তামা শোধনাগারের প্রথম ইউনিট চালু করে আদানি এন্টারপ্রাইজ। সংশ্লিষ্ট কোম্পানিটির নাম ‘কচ্ছ কপার’ রেখেছেন গৌতম আদানি (Gautam Adani)। জানা গিয়েছে দুটি পর্যায়ে শোধনাগারটিকে গড়ে তুলেছেন তিনি। ২০২৯ সালের মধ্যে কচ্ছ কপার থেকে পরিশোধিত তামা উৎপাদনের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ১০ লক্ষ টন এমনটাই জানিয়েছেন শিল্পপতি। যদিও বর্তমানে ৫ লক্ষ টন পরিশোধিত তামা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন তিনি। আর এই তামা শিল্পেই গৌতম আদানিকে বড় টক্কর দিতে পারে আদিত্য বিড়লা গ্রুপের সংস্থা “হিন্দালকো”। 

Gautam Adani fight with Aditya Birlaজানা গিয়েছে, আদিত্য বিড়লা গ্রুপের সংস্থা হিন্দালকো বছরে গড়ে তামা উত্তোলন করে আনুমানিক ৫ লক্ষ টন। শুধু আদিত্য বিড়লা গ্রুপই নয় একই সাথে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্তান কপারও এই তালিকায় পিছিয়ে নেই। “হিন্দুস্তান কপার লিমিটেড” বছরে গড়ে এই ধাতুটি উত্তোলন করে ৬৮ হাজার ৫০০ টন। তবে বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন, এক্ষেত্রে যদি আদিত্য বিড়লা গ্রুপ মুন্দ্রার ধাঁচে তামা শোধনাগার তৈরি করে সেক্ষেত্রে বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে গৌতম আদানিকে (Gautam Adani)। 

আরও পড়ুন: “চিনের ওপর ভরসা নেই….” ভারতীয়দের সতর্ক করলেন খোদ Samsung-র CEO, স্পষ্ট জানালেন….

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তামা শিল্প নিয়ে কেন এত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে: আদানি গ্রুপ হোক কিংবা আদিত্য বিড়লা গ্রুপ তামা শিল্পের জোর দেওয়ার পিছনে রয়েছে একাধিক কারণ। বর্তমান সময় ভারতের বাজারে তামার চাহিদা প্রবল বেড়েছে। বিশেষ করে, করোনা অতিমারি কেটে যাওয়ার পর থেকেই এর চাহিদা প্রবল। বিদ্যুৎ, ব্যাটারিচালিত গাড়ি, মহাকাশ গবেষণা উন্নত হাতিয়ার নির্মাণের ক্ষেত্রে এই ধাতুটির প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, রেল এবং মেট্রোতেও তামার ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৪ শতাংশ। এছাড়াও বৈদ্যুতিন গাড়ি নির্মাণে সংশ্লিষ্ট ধাতুটির চাহিদা ২১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ সবমিলিয়ে তামা এখন বহু ব্যবহৃত ধাতু হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন: জানেন না অনেকেই! শুধুমাত্র আধার কার্ড থেকেই মিলবে হাজার হাজার টাকা, কীভাবে করবেন আবেদন?

ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছে চিন: তামার ব্যবহার যেরকম বেড়েছে তেমনি ভারতে তামার উত্তোলনও বেড়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে তাম্র শিল্পের ক্ষেত্রে ভারতের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়িয়েছে ড্রাগনের দেশ চিন। বর্তমানে জিনপিংয়ের দেশে তামা উৎপাদনের জন্য অনেক নতুন কারখানা গড়ে উঠেছে। আর তাই চিন বাজার দখলের আগেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে গৌতম আদানির (Gautam Adani) সংস্থা এবং আদানি বিড়লা গ্রুপ। অর্থাৎ কেউ কাউকে প্রতিযোগিতার ময়দানে এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে চাইছে না।

Sunanda Manna
Sunanda Manna

সুনন্দা মান্না, বাংলা হান্টের স্ক্রিপ্ট রাইটার। গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতা করার পর থেকেই সংবাদ মাধ্যমে কাজ শুরু। দেশ থেকে বিদেশ, রাজনীতি, বিনোদন বিভিন্ন তথ্যই আপনাদের কাছে তুলে দেওয়া আমার মূল লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর