বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সাধারণ মানুষকে সমস্ত সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দিতে বাড়তি নজর সরকারের (West Bengal Government)। সম্প্রতি গ্রামবাসীদের সুবিধার্থে অনলাইনে বিভিন্ন শংসাপত্র সরবরাহের জন্য পঞ্চায়েতগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। নির্দেশ ছিল অনলাইনে আবেদন জমা পড়লে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের (Panchayat) তরফে তা যাচাইয়ের মাধ্যমে আবেদন গৃহীত হলে শংসাপত্র ডাউনলোড করে নেওয়া যাবে বাড়িতে বসেই।
সম্প্রতি এই সংক্রান্ত পরিষেবা চালু করতে বিজ্ঞপ্তি জারি হয় দপ্তরের তরফে। তবে নির্দেশই সার! জানা যাচ্ছে অনেক পঞ্চায়েত এই পরিষেবা শুরু করলেও বহু গ্রাম পঞ্চায়েত এখনও তা করতে পারেনি। কোথাও পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ নেই। কোথাও প্রস্তুতি শুরু হলেও এখনও পরিষেবা চালু করা যায়নি। পঞ্চায়েত কর্মীদের একাংশের কথায়, জেলা থেকে এখনও এই নিয়ে কোনও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। তাই তারাও অন্ধকারে। আবার একাংশের মতে অনলাইন পরিষেবা চালু না করার নেপথ্যে প্রধানদের গা ছাড়া মনোভাবও রয়েছে। এই নিয়ে দপ্তর জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
গত ডিসেম্বরে রাজ্য সরকার তরফে জানানো হয়, সাধারণ মানুষের হয়রানি কমাতে এবার থেকে অতি প্রয়োজনীয় ছ’ধরনের শংসাপত্র (Certificate) মিলবে বাড়িতে বসেই। যেই তালিকায় ছিল জাতিগত শংসাপত্রের আবেদনের জন্য প্রধানের শংসাপত্র, ডিসট্যান্স সার্টিফিকেট, ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট, ব্যক্তি পরিচয়পত্র, রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট এবং ইনকাম সার্টিফিকেট।
অনলাইনে এই সব সার্টিফিকেট পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু প্রক্রিয়া আছে। প্রথমত এগুলো পেতে গ্রাহককে মোবাইল নম্বর সহ কিছু তথ্য নথিভুক্ত করতে হবে। রেজিস্টার করা মোবাইল নম্বরে ওটিপি গেলে শংসাপত্র নেওয়া যাবে। ফলত আর সরকারি দফতরের চক্কর কাটতে হবে না কাউকে। অনলাইন সাইট থেকে খুব সহজেই ডাউনলোড করা যাবে সার্টিফিকেট।
আরও পড়ুন: ‘৩ জনের নাম সামনে আসা বাকি’! সেই কারণেই রাজ্য তড়িঘড়ি সঞ্জয়ের ফাঁসি দিতে চায়! বিস্ফোরক আইনজীবী
রাজ্যের বহু গ্রাম পঞ্চায়েত এই পরিষেবার ক্ষেত্রে এখনও ফিতে কাটতে না পারলেও রাজ্যের বহু পঞ্চায়েত ইতিমধ্যেই সুষ্ঠুভাবে এই পরিষেবা চালু করতে পেরেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজার করে শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে অনলাইনে।