বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আবাস যোজনা (Awas Yojana) প্রকল্পে ইতিমধ্যেই প্রথম কিস্তির টাকা দিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এরইমধ্যে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা নিয়ে এল বড় আপডেট। জানা যাচ্ছে, নতুন বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই এই দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দিতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। যার ফলে বাড়ি তৈরীর কাজের দ্রুত অগ্রগতির প্রমাণ রাখতে হবে। এই অবস্থায় নির্মাণ সামগ্রীর অভাবে কাজ যাতে না থমকায় তা নিশ্চিত করার জন্য জেলা আধিকারিকদের বার্তা দিচ্ছে রাজ্য সরকারের সর্বোচ্চ মহল। রাজ্যে এবার এক ধাক্কায় মোট ১২ লক্ষ বাড়ি তৈরীর কাজ শুরু হচ্ছে। এই কাজে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় ইট লাগবে। দরকারে বাইরের রাজ্য থেকেও ইট নিয়ে আসায় আপত্তি থাকছে না প্রশাসনের।
আবাসের (Awas Yojana) বাড়ি তৈরি নিয়ে কড়া বার্তা রাজ্যের
প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশ এপ্রসঙ্গে জানিয়েছেন আবাস প্রকল্পে (Awas Yojana) একটি বাড়ির আয়তন কমপক্ষে ২৫ বর্গমিটার হতে হয়। তাতে রান্নাঘর এবং শৌচালয়ের সুবিধা থাকা বাঞ্ছনীয়। এই হিসাবে এমন একটি বাড়ি তৈরি করতে প্রয়োজন হয় কমবেশি আট হাজার ইঁট। এই সূত্রে ১২ লক্ষ বাড়ি তৈরির জন্য মোট ৯৬০ কোটি ইটের চাহিদা রয়েছে। এই কারণে জেলা প্রশাসনকে ইটের জোগান স্বাভাবিক রাখার দায়িত্ব দিয়েছে নবান্ন। ইতিমধ্যে স্থানীয় ব্যবসায়ী বা ইটভাটা মালিকদের সঙ্গেও বৈঠক সেরে ফেলেছেন জেলা কর্তারা। ইটের এই ব্যাপক চাহিদার মধ্যে যাতে অসাধু পথে ইটের দাম না বাড়ে সেই ব্যাপারে জেলা প্রশাসনিক স্তরে আলাদা করে দল গঠনও করা হয়েছে।
জেলা আধিকারিকদের একাংশ অবশ্য জানাচ্ছেন সমস্ত জায়গায় ইটের অগ্রগতি সমান নয়। অনেক জেলায় পর্যাপ্ত ইট তৈরি হলেও কিছু জেলা নদী গর্ভের মাটির তোলায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় সেখানে তত সংখ্যক ইট তৈরি করা হয় না। এপ্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট মহল জানাচ্ছে যেখানে উৎপাদন কম হয়, সেখানে পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকে ইট যাওয়ায় বাধা নেই। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই প্রতিবেশী কিছু রাজ্য থেকে ইট আসতে শুরু করেছে উত্তরবঙ্গের বেশকিছু জেলায়। যার ফলে কোথাও আর ইটের জোগান কম পড়বে না। এক কর্তার কথায়,’বাইরের রাজ্য থেকে ইট আসলেও আপত্তি নেই। দাম এবং জোগান যাতে স্বাভাবিক থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: শীঘ্রই বিপুল নিয়োগ হবে রাজ্যে! কাদের খুলছে কপাল? নবান্ন তরফে বিরাট আপডেট
প্রসঙ্গত সব ঠিক থাকলে আগামী জুন মাসেই আবাস প্রকল্পের (Awas Yojana) দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ছাড়তে পারে নবান্ন। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়ার পরেই জানানো হয়েছিল প্রথম কিস্তির বরাদ্দ পাওয়ার পর তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে নির্দিষ্ট মাত্রায় নির্মাণ কাজ শেষ করে ফেলতে হবে। তারপর কাজের অগ্রগতি দেখেই দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া হবে। আর দ্বিতীয় কিস্তির সেই টাকা পাওয়ার পর তিন মাসের মধ্যে পুরো বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করে ফেলতে হবে।
বাড়ি (Awas Yojana) তৈরির নির্মাণ সামগ্রী যেমন সিমেন্ট, বালি,পাথর, স্টোন চিপস,করোগেটেড টিন, অ্যাসবেস্টস, লোহার জোগান এবং দর যাতে স্বাভাবিক থাকে সে বিষয়ে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাশাসক এবং বিডিওদের। প্রত্যেক জেলায় প্রশিক্ষিত নির্মাণ কর্মীর তালিকা তৈরি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে দাবি রাজ্যে এমন প্রশিক্ষিত গ্রামীণ নির্মাণ কর্মীদের সংখ্যা প্রায় ২৬ হাজার।