বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট। ইতিমধ্যেই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ময়দানে নেমে পড়েছে নানান রাজনৈতিক দল। সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে বছরের শুরুতেই বড় উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal)। ফের একবার বাংলার নানান প্রান্তে আয়োজিত হচ্ছে দুয়ারে সরকার শিবির। যদিও তার ফলে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে রাজ্যের বহু সরকারি বিদ্যালয়কে (Government School)।
সরকারের (Government of West Bengal) বড় উদ্যোগ! রাজ্যের স্কুলে স্কুলে আচমকাই ছুটি!
রাজ্য সরকারের নানান প্রকল্পের সুবিধা জনগণের নাগালে পৌঁছে দিতে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) চালু করা হয়েছিল। দফায় দফায় একাধিক ক্যাম্প করে সাধারণ মানুষের দুয়ারে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি থেকে ফের রাজ্যের নানান প্রান্তে শুরু হয়েছে এই শিবির। এর জন্য নেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়। তবে তার ফলে কোথাও সম্পূর্ণ স্কুল ছুটি দিয়ে দিতে হচ্ছে, কোথাও আবার কয়েকটি পিরিয়ডের পর ছুটি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষকদের একাংশের তরফ থেকে এমনটাই অভিযোগ করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের মধ্যে রাজ্যের (Government of West Bengal) দুয়ারে সরকার শিবির আয়োজন প্রসঙ্গে শিক্ষকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কিছু কিছু বিদ্যালয়ের ভবন বড়, সেখানে বাড়তি ক্লাসরুম রয়েছে। বিদ্যালয়ের কোনও একটি প্রান্তে হয়তো দুয়ারে সরকারের কাজ চলছে। তবে শিবিরের দিন যেভাবে মাইক বাজানো হয়, এলাকাবাসী সেখানে ভিড় করেন, তাতে কি আদৌ পড়াশোনার পরিবেশ থাকে?
আরও পড়ুনঃ ‘ধর্ষণ, খুন, ডাকাতির মতো গুরুতর অপরাধ নয়’! বিরাট পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের! কোন মামলায়?
বহু শিক্ষকের আবার প্রশ্ন, দুয়ারে সরকার শিবির আয়োজনের জন্য কেন স্কুল নির্বাচন করতে হচ্ছে? নানান জেলায় যে সকল সরকারি ভবন অথবা কমিউনিটি হল রয়েছে, সেখানে কি এই শিবিরের আয়োজন করা যায় না?
এই বিষয়ে শিক্ষা দফতরের একজন কর্তা বলেন, ‘দুয়ারে সরকারের জন্য এলাকার কমিউনিটি হলই বেশি নেওয়া হয়। দরকারে স্কুল নেওয়া হয়। তাও বিদ্যালয়ের ৩-৪টি ঘর নিয়ে এই প্রকল্পের কাজ হয়। সমগ্র বিদ্যালয় কখনওই নেওয়া হয় না। ফলে পঠনপাঠন ব্যাহত হওয়ার কথা নয়’।
বিদ্যালয়ে-বিদ্যালয়ে রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) দুয়ারে সরকার শিবির আয়োজনের বিষয়ে মুখ খুলেছেন প্রধান শিক্ষকদের একটি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতিও। তিনি বলেন, ‘যে সব বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো ভালো, সেখানে হয়তো দুয়ারে সরকারের কাজ চলাকালীন ক্লাস করানো যায়। তবে জেলায় এমন প্রচুর বিদ্যালয় নেওয়া হয়েছে, যেখানে ক্লাসরুমের সংখ্যা কম। সেখানে সমগ্র স্কুল ছুটি দিতে বাধ্য হয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া যেভাবে মাইক বাজে ও বহু মানুষের সমাগম হয়। সেখানে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বহু বিদ্যালয়ই পুরো ছুটি দিতে হয়’।