‘সঞ্জয়ের শরীর ভালো রাখতে…’! তিলোত্তমার মা-বাবাকে নিয়ে বিস্ফোরক! বোমা ফাটালেন কুণাল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি করের (RG Kar Case) নির্যাতিতার মা-বাবাকে ফের আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি দাবি করেন, মেয়ের ধর্ষণ খুনের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত সঞ্জয়ের প্রতি স্নেহশীল হয়ে উঠছেন তিলোত্তমার বাবা-মা। তাঁরা যেভাবে কলকাতা পুলিশের এই প্রাক্তন সিভিক ভলেন্টিয়ারের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তাঁর নেপথ্যে বড় রহস্য রয়েছে বলে দাবি করেন তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা।

তিলোত্তমার মা-বাবাকে ফের আক্রমণ কুণালের (Kunal Ghosh)!

সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে তিলোত্তমার মা-বাবা জানান, তাঁরা সঞ্জয়ের ফাঁসি চাইছেন না। এরপর থেকেই তাঁদের আক্রমণ শানাচ্ছেন একের পর এক তৃণমূল নেতা। কয়েকদিন আগেই তাঁদের উদ্দেশে বেশ কিছু মন্তব্য করেছিলেন কুণাল। তার রেশ পুরোপুরি কাটার আগে ফের একবার সরব হলেন তৃণমূল নেতা।

কুণাল (Kunal Ghosh) এদিন বলেন, ‘তাঁরা যেভাবে সঞ্জয়ের প্রতি স্নেহশীল হয়ে উঠছেন, যে ব্যক্তি তাঁদের মেয়েকে ধর্ষণ খুন করেছে… তাতে দু’দিন বাদে দেখব যে প্রেসিডেন্সি জেলে সঞ্জয়ের সেলে কম্বল ও শীতবস্ত্র পাঠাচ্ছেন। কখনও দেখব সঞ্জয়ের শরীর ভালো রাখতে জেলে আপেল-কমলালেবু এসব পাঠাচ্ছেন। তাঁরা যেভাবে সঞ্জয়ের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, এর পিছনে বড় রহস্য আছে’।

আরও পড়ুনঃ অ্যাকাউন্টে ঢুকবে কড়কড়ে ১০০০ টাকা! লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য কী কী নথি চাইছে সরকার?

তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সম্পাদক জানান, তিনি তিলোত্তমার মা-বাবাকে শ্রদ্ধা করেন। তাঁদের প্রতি সম্পূর্ণ সহমর্মিতা রয়েছে। কুণালের কথায়, ‘আমি খুব স্পষ্টভাবে বলছি, আমি অভয়ার মা-বাবাকে শ্রদ্ধা করি। তাঁদের প্রতি সম্পূর্ণ সহমর্মিতা রয়েছে। কিন্তু তাঁরা যদি এভাবে ঘনঘন পাল্টাতে থাকেন… প্রথমে বললেন পুলিশ। তারপর আদালতে গিয়ে বললেন সিবিআই চাই। এরপর বললেন সিবিআই চাই না। নিম্ন আদালতের ওপর তাঁদের আস্থা নেই। সুপ্রিম কোর্টকে তাঁরা বিশ্বাস করবেন না। কলকাতা পুলিশ, সিবিআইকে তাঁরা বিশ্বাস করবেন না’।

কুণাল (Kunal Ghosh) আরও বলেন, ‘আমরা বলছি তো, বাম, অতিবাম, বিজেপি, অন্ধ তৃণমূল বিরোধীদের শেখানো কথাগুলো তাঁরা ধাপে ধাপে বলছেন। তাঁদের মনে আবেগ রয়েছে। তাঁদের কষ্ট আছে। আমি তো বারবার বলছি। তাঁদের বুকে আগুন জ্বলছে। তাঁদের মেয়ে এভাবে মারা গিয়েছে। কিন্তু কোন বাবা-মা বলুন তো মেয়ের ধর্ষক-খুনির ফাঁসি চায় না? এটা কখনও হতে পারে? এটা তো সিপিআইএমের লাইন’।