বাংলাহান্ট ডেস্ক : হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ওপার বাংলার (Bangladesh) সাথে খুব একটা মধুর সম্পর্ক নেই ভারতের (India)। শুধু তাই নয়, ভারতকে রীতিমতো কোণঠাসা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। তবে, মুখে ভারতের বিরুদ্ধে হাজারটা কথা বললেও সাহায্যের জন্য কিন্তু ভারতের দ্বারস্থই হতে হচ্ছে ইউনূস সরকারকে।
ফের ভারতের দ্বারস্থ বাংলাদেশ (Bangladesh)
এদিকে, দুদেশের মধ্যে বাণিজ্যের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে ঠেকতেই প্রবল জ্বালানি সংকটে ভুগতে শুরু করেছে একসময়ের ‘সোনার বাংলা’। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই এবার বিপুল পরিমাণ ডিজেল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিতে হল বাংলাদেশকে। ভারত থেকে ডিজেল (Diesel) আমদানি করার পর ওপার বাংলার জ্বালানি সংকট কতটা মেটে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
আরোও পড়ুন : অক্ষর থেকে অঙ্ক জানেই না পড়ুয়ারা! ভয় ধরাচ্ছে প্রাথমিকের রিপোর্ট
জানা গিয়েছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল ভারত থেকে আমদানি করবে বাংলাদেশ। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত আমদানি হবে ৭০ হাজার টন ও জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত হবে ৪০ হাজার টন। অতিরিক্ত আমদানি ধরা হয়েছে আরও ২০ হাজার টন।এক্ষেত্রে অবশ্য বাংলাদেশ টার্গেট করেছে ভারতের নুমালীগড় রিফাইনারি লিমিটেডকেই।
আরোও পড়ুন : মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনা! বাতিল হয়ে যাচ্ছে স্পেশাল ট্রেন? বড়সড় আপডেট দিল রেল
এই বিপুল পরিমাণ ডিজেল আমদানি করার জন্য বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকারকে কমপক্ষে গুণতে হবে ১ হাজার ১৩৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। সূত্রের খবর, ভারত থেকে এই ডিজেল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে মঙ্গলবার অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিনের সভপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১৫ বছর মেয়াদি চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ডিজেল আমদানি করছে ২০১৬ থেকেই। পাইপলাইন নির্মাণের আগে অবশ্য ডিজেল আমদানি করা হত রেল ওয়াগনের মাধ্যমে। তবে ২০২৩ সালের ১৮ মার্চ থেকে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি করা হচ্ছে।