বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। এদিকে, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের জন্য মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভের ঘোষণা করেছে বলেও জানা গিয়েছে।
চরম অস্থিরতা বাংলাদেশে (Bangladesh):
আওয়ামী লীগের প্রথম বড় ভূমিকা: যদি দেখা যায় তাহলে এটাই হবে আওয়ামী লীগের প্রথম বড় বিক্ষোভ। তবে, গত বছরের ৫ অগাস্ট ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভ আন্দোলনের পর থেকে এই দলের অধিকাংশ নেতা হয় গ্রেফতার বা আন্ডারগ্রাউন্ডে রয়েছেন। জানিয়ে রাখি যে, আওয়ামী লীগ তাদের ফেসবুক পেজে এক বিবৃতি দিয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে যে, তারা আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজপথে নামবে এবং হরতাল-অবরোধ কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগের জন্য চাপ দেবে।
দাবি আদায়ের জন্য প্রচার: এদিকে, দলের পক্ষ থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত দলটি তাদের দাবি আদায়ে প্রচারপত্র বিতরণ ও প্রচার চালাবে। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি সমগ্র বাংলাদেশে (Bangladesh) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ এবং ১০ ফেব্রুয়ারিও বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ সম্পন্ন হবে। এরপর ১৬ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে অবরোধ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে কঠোর হরতাল সম্পন্ন হবে।
হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবি: এর পাশাপাশি ওই দল হাসিনা ও দলের অন্যান্য নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে হত্যা ও অন্যান্য অভিযোগ প্রত্যাহারেরও দাবি করেছে। যেটিকে “হাস্যকর মামলা” হিসেবে অভিহিত করেছে। উল্লেখ্য, দলটি এর আগে গত ১০ নভেম্বর বিক্ষোভ শুরু করার পরিকল্পনা করলেও তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এদিকে, গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে (Bangladesh) অনেকটাই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: এবার BCCI-এর দিকে তোপ দাগলেন সুনীল গাভাস্কার! বিরক্তি প্রকাশ করে জানালেন…..
ইউনূস সরকারের ব্যর্থতা: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বর্তমানে বাংলাদেশের (Bangladesh) উচ্চ পেনশন ও অন্যান্য সুবিধার দাবিতে রেলের কর্মীরা ধর্মঘট করছেন। এই কারণে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। পাশাপা, বাতিল করা হয়েছে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেন। এদিকে, এই ধর্মঘটের কারণে হাজার হাজার যাত্রীকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। স্টেশনে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে যাত্রীদের। এর পাশাপাশি পণ্য পরিবহণেও প্রভাব পড়েছে।
আরও পড়ুন: মহাকুম্ভের কোটি কোটি তীর্থযাত্রীদের ভারতীয় রেলের উপহার! পরিষেবায় বিরাট চমক
ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাইদুর রহমান: এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ (Bangladesh) রেলওয়ে রানিং স্টাফ অ্যান্ড এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, দাবি নিয়ে সোমবার গভীর রাতে মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বৈঠক হলেও দাবিগুলি নিয়ে কোনও ঐক্যমতে পৌঁছানো যায়নি। রহমান আরও বলেন, “সরকার আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।”