বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের শুরু থেকেই একের পর এক বেফাঁস মন্তব্য করে চলেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। সম্প্রতি, আরজি কর কাণ্ডের তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মাকে নিশানা করে বেলাগাম আক্রমণ করেছেন তিনি। তাঁরই সেই মন্তব্যের সমালোচনা করেছিলেন প্রয়াত অভিনেতা তাপস পালের স্ত্রী নন্দিনী পাল। তারই প্রতিক্রিয়ায় এবার নন্দিনীকেও পাল্টা আক্রমণ শোনালেন কুণাল ঘোষ। টেনে আনলেন তাপস পালের করা বিতর্কিত মন্তব্যের প্রসঙ্গ। সেই প্রসঙ্গ তুলেই একেবারে চাঁচাছোলা ভাষায় নন্দিনীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়েছেন কুণাল।
কুণালের (Kunal Ghosh) কটাক্ষের মুখে তাপস-পত্নী
অভয়ার বাবা-মাকে কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) যেভাবে আক্রমণ করেছেন একজন মা হিসেবে তার প্রতিবাদ করেছিলেন তাপস পত্নী নন্দিনী। সেখানে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে তাঁর কোনো ব্যক্তিগত কিছু নেই। কিন্তু ওঁর মধ্যে তিনি কোনও অনুতাপ দেখছেন না। নন্দিনীর কথায়, ‘উনি তো রোজ কিছু না কিছু বলেই যাচ্ছেন সেটাতে কোনও অনুতাপ নেই। খুব গর্বের সঙ্গেই উনি বলছেন সেটাতে আমি আরও লজ্জা পাচ্ছি।’
তারপরেই তাপস পালের সেই বিতর্কিত মন্তব্যের প্রসঙ্গে নন্দিনী জানিয়েছেন, ‘আর একটা কথা খুব স্পষ্ট ভাবে বলতে চাই তাপস পালের যে উক্তি তার কোনও ক্ষমা নেই। উনি বলেছেন, তার ভোগান্তি উনি ভুগেছেন। উনি মারা গেছেন। উনি অনুতাপ নিয়ে চলে গেছেন।’ একইসাথে কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) সমালোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমি যেটা বলছি,আমি যে প্রতিবাদ করছি, একটি মাতৃসত্ত্বা থেকে বলছি। কুণালবাবু যে কথাগুলো অভয়ার বাবা-মাকে বলছেন, যে মেয়েটি ওরকম নৃশংসভাবে মারা গেছেন, সেটা একজন মা হিসেবে, কুণালবাবুর উক্তিগুলো আমার খুব অসংবেদনশীল এবং রুঢ় লেগেছে। আমার এই প্রতিবাদ যেটা আমার মনে হবে খারাপ লাগছে, সেটা আমি আগেও বলেছি, আজও বলব, কালও বলব।’
আরও পড়ুন: সন্দেশখালি গণধর্ষণ কাণ্ডে নতুন মোড়! বিরাট নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট
সবশেষে নন্দিনীর সংযোজন, ‘একবার কোথাও দেখলাম উনি খুব গান গাইছেন। কুণাল (Kunal Ghosh) বাবু নেচে নেচে গান গাইছেন। ওটা আমার জন্য খুব বিনোদনের। মান আর হুঁশ থাকলে তবেই তো মানুষ। কামনা করি হুঁশটা আসুক। ওর একটা অনুতাপ আসুক তাপস বাবুর মতো।’
তাপস পত্নীর সেই মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়ার কুণাল বলেছেন, ‘মন্তব্য করার অধিকার সবার আছে। সকলের কথার উত্তর দেওয়ার কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। শুনবেন না।’ এখানেই থেমে থাকেননি কুণাল। তারপর তিনি আরও লিখেছেন, ‘কোনটায় বেশি লেগেছিল (লজ্জা)? আমারটায়, না আপনার স্বামী যখন বলেছিলেন ছেলে ঘরে ঢুকিয়ে দেব? কোনটায় বেশি লজ্জা লেগেছিল। সেটা একটু ব্যাখ্যা করে বলে দিলেই মিটে যায়। তবে আমি আবার বলছি ফোন সবার হাতে আছে। ফেসবুক গণতান্ত্রিক অধিকার। সারা পৃথিবীর মানুষ ফোন কিনতে পারে। ফেসবুক করতে পারে। গণতান্ত্রিক মত জানাতে পারে। প্রত্যেকের কথার উত্তর দেওয়ার আমি প্রয়োজন বলে মনে করি না।’