বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ছাত্র-ছাত্রীরাই হল আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ। আগামী প্রজন্মকে ভালোভাবে তৈরি করতে একেবারে প্রাথমিক স্তর থেকেই ভীত মজবুত করা প্রয়োজন। তাই শৈশব থেকেই শিশু পড়ুয়াদের উন্নতমানের শিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই রাজ্যের অধিকাংশ স্কুলে গড়ে তোলা হয়েছিল স্মার্ট ক্লাসরুম (Smart Classroom)। ওই স্মার্ট ক্লাস রুম থেকেই শুরু হয়েছে পড়ুয়াদের পড়াশোনা।
স্মার্ট ক্লাসরুম (Smart Classroom) নিয়ে রিপোর্ট চাইল শিক্ষা দফতর
স্মার্ট ক্লাসরুম (Smart Classroom) নিয়েই এবার একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে রিপোর্ট তলব করল রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। প্রথমত শিশু পড়ুয়ারা স্মার্ট ক্লাসরুম থেকে উপযুক্ত শিক্ষা পাচ্ছে তো? পড়ুয়ারা ভালোভাবে গড়ে উঠছে তো? এমনই সমস্ত প্রশ্নের জবাব চাওয়া হয়েছে। শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ আসতেই এবার এই স্মার্ট ক্লাসরুম নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করার ধুম পড়ে গিয়েছে রাজ্যের স্কুলগুলিতে।
আজ শুক্রবার রাজ্যের মোট ৩ হাজার স্কুলে থাকা স্মার্ট ক্লাসরুমের (Smart Classroom) রিপোর্ট দেওয়ার কথা। এই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। স্কুলগুলিকে এই সমস্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে ডিআই’দের কাছে। ডিআই’রা পাঠিয়ে দেবেন শিক্ষা দপ্তরে। এক্ষেত্রে তাঁদের পক্ষ থেকেও কোন পরামর্শ থাকলে সেটাও যোগ করা হবে। এই আবহে অনেকে মনে করছেন স্কুল শিক্ষার ‘লার্নিং আউটকাম’ ভিত্তিক মডেলের এমন রিপোর্ট খুবই জরুরী। সেটাই এবার বাস্তবায়িত হতে চলেছে।
রাজ্যের যে তিন হাজার স্কুলে স্মার্ট ক্লাসরুম (Smart Classroom) রয়েছে সেখানকার শিক্ষার মান এবং পড়ুয়াদের জ্ঞান এই দুই বিষয়ে একেবারে স্পষ্ট ধারণা পেতে চাইছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। জানা যাচ্ছে, গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে ২ হাজার। এছাড়াও ৬৫০ টি প্রাথমিক স্কুল এবং ৪১টি সরকারি স্কুলে ই-লার্নিং পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
শৈশব থেকেই পড়ুয়ারা যাতে উন্নত মানের শিক্ষা পায় তার জন্যই রাজ্যের সমস্ত যে সমস্ত স্কুলের স্মার্ট ক্লাসরুম রয়েছে সেখানে রাজ্যের তরফে স্মার্টবোর্ড, ডিজিটাল লার্নিং, কনটেন্ট প্রজেক্টার ল্যাপটপ সহ বিশেষ সফটওয়্যার এবং বিশেষ ডিভাইস পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু শিক্ষা দপ্তরের কাছে খবর এসেছে অধিকাংশ স্কুলেই এই স্মার্ট ক্লাসরুমের সমস্ত পরিকাঠামোর যথাযথ ব্যবহার করা হচ্ছে না। এমন অনেক স্কুল রয়েছে যেখানে দিনের পর দিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বোর্ড, প্রজেক্টর ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: শ্বশুর বাড়ির সম্পত্তির ভাগ পেতে পারে জামাই? কি বলছে দেশের আইন?
যার ফলে অনেক যন্ত্রপাতিও অকেজো হয়ে গিয়েছে। তাই সবকিছু এখন কেমন অবস্থায় রয়েছে সেটা উল্লেখ করতে বলা হয়েছে রিপোর্টে। ওয়েবেলের সাহায্য নিয়ে অনেক স্কুলে ই-লার্নিং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ওই সমস্ত স্কুলগুলিতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন চালু করা হয়েছে। সমীক্ষার একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে স্মার্ট ক্লাসরুম চালুর পর রাজ্যের মোট ১২ টি শহরে পড়ুয়াদের নথিভুক্তির হার বেড়েছে ২২ শতাংশ। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ওই সমস্ত স্কুলের পড়ুয়ারা নতুন করে আকর্ষিত হচ্ছে। পড়াশোনার প্রতিও তাদের ভালোবাসা তৈরি হচ্ছে।
প্রযুক্তির ব্যবহার করে বাংলার ছেলেমেয়েদের মেয়েরা শিক্ষার ক্ষেত্রে একটু পিছিয়ে আছে। বলা হচ্ছে, মেধা থাকলেও জাতীয় মাপকাঠির নিরিখে স্মার্টফোন কম্পিউটার ব্যবহার করে জরুরী কাজের নিরিখে পড়াশোনার ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে বাংলার ছেলে মেয়েরা। এই পরিস্থিতিতে প্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলার ছেলেমেয়েদের শিক্ষাদানের উপর জোর দেওয়া হলে আদতে পড়ুয়ারাই অনেকটা উপকৃত হবে বলে মনে করছে শিক্ষা দফতর।