মসৃণ হচ্ছে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক? এই খাতে টাকা পাচ্ছে রাজ্য, ঠাঁই পেল ঝড়প্রবণ রাজ্যের মানচিত্রেও

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গত বছর লোকসভা নির্বাচনের সময়ও এই নিয়ে সুর চড়িয়েছিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। তবে এবার সামনে আসছে বড় খবর। জানা যাচ্ছে, রাজ্যকে (Government of West Bengal) ৭৪০ কোটি টাকা দেওয়ার বিষয়ে সবুজ সংকেত পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।

অবশেষে গলছে কেন্দ্র-রাজ্য (Government of West Bengal) সম্পর্কের ‘বরফ’?

রাজ্যের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না মোদী সরকার! এই অভিযোগে বহুবার সরব হয়েছে তৃণমূল। শেষ অবধি একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনা সহ বেশ কিছু প্রকল্পে ‘একলা চলো নীতি’ অনুসরণ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। অন্যদিকে বিজেপির পাল্টা দাবি ছিল, আয়-ব্যয়ের হিসেব না দিলে কেন্দ্র টাকা দেবে না। এই আবহে বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার।

রিপোর্ট বলছে, পশ্চিমবঙ্গের জন্য ৭৪০ কোটি টাকা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের অধীন এই অর্থবর্ষে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পেতে চলেছে রাজ্য (Government of West Bengal)। এই টাকা পেতে কেন্দ্রের ওপর ধারাবাহিকভাবে ‘চাপ’ বজায় রেখেছিল নবান্ন। ফলে এই বিষয়টিকে ‘রাজনৈতিক জয়’ হিসেবে দেখছেন অনেকে।

আরও পড়ুনঃ আরজি কর মামলায় গ্রেফতার! এবার সোজা হাইকোর্টে ছুটলেন সন্দীপ ঘোষ! কী দাবিতে জানেন?

জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রের তরফ থেকে যে টাকা পাঠানো হবে, সেটা গ্রামীণ পরিকাঠামোর বিকাশে খরচ করতে পারবে রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গেই রাজ্যের দাবি ছিল, বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) যে বরাদ্দ রয়েছে তাতে পশ্চিমবঙ্গকে গুরুত্ব দেওয়া হোক। কারণ বাংলার বহু জেলা উপকূলবর্তী হওয়ার দরুন প্রত্যেক বছর এখানে ঘূর্ণিঝড় সহ নানান দুর্যোগ লেগেই থাকে। এখন জানা যাচ্ছে, দেশের ঝড়প্রবণ রাজ্যগুলির যে কেন্দ্রীয় মানচিত্র বানানো হয়েছে, সেখানে স্থান পেয়েছে বাংলা।

এই বিষয়ে রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমাদের দাবি যুক্তিসঙ্গ ছিল বলেই কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিতে বাধ্য হয়েছে’। তিনি আরও বলেন, ‘আমরাই বলেছিলাম বাংলাকে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রত্যেক বছর আমরা দুর্যোগ মোকাবিলা করি। তবে কেন্দ্রীয় সরকার বরাদ্দ দিত না’। একইসঙ্গে চন্দ্রিমা বলেন, আরও অনেক খাতে রাজ্যের (Government of West Bengal) অনেক টাকা বকেয়া রয়েছে।