বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলেজে ভর্তি নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে এবার একে অপরকে বিঁধিয়ে আক্রমণ শানালেন মানিকতলার বিধায়ক সুপ্তি পান্ডে এবং তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। ঘটনর সূত্রপাত হয় কিছুদিন আগেই। কলেজে ভর্তি নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন কুণাল ঘোষ এবং সুপ্তি পান্ডের অনুগামীরা।
সুপ্তি পান্ডের মন্তব্যের পাল্টা দিলেন কুণাল (Kunal Ghosh)
ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল ক্ষুদিরাম বোস সেন্ট্রাল কলেজের ভর্তিকে কেন্দ্র করে। জানা যায়, কামাল হাসান নামের এক পড়ুয়া অনলাইন পোর্টালে দুবার আবেদন করেছিলেন। সেই নিয়েই শুরু হয় গন্ডগোল। কুণাল ঘোষের অনুগামীরা এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে সুপ্তী পাণ্ডের অনুগামীরা পেপার স্প্রে করে বলে অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় কুণাল অনুগামীরা থানায় অভিযোগ করতে গেলে তাদের মধ্যে তিনজনকে আটক করে নিয়েছিল বড়তলা থানার পুলিশ।
খবর মিলতেই কুনাল ঘোষ (Kunal Ghosh) উপস্থিত হন বড়তলা থানায়। ওই ঘটনায় কলেজের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে সরব হয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘কারও কারও নির্দেশে প্রিন্সিপালের চেয়ার বসে কাউকে ফাঁসানোর চেষ্টা করবেন, এটা হতে পারে না’। সে সময় কারও বুঝতে বাকি ছিল না কুণাল ঘোষের নিশানয় ছিলেন মানিকতলার বিধায়ক সুপ্তি পান্ডে।
উপ নির্বাচনের সময় মানিক তলায় সুপ্তি পাণ্ডের কো-অর্ডিনেটর ছিলেন কুণাল। সেই কুণালই এমন মন্তব্য করায় সুপ্তি পান্ডে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে কুণাল নির্বাচনের সময় আমার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন,অনেক সাহায্য করেছিলেন তিনি। উনি ১০০ শতাংশ আমার শুভাকাঙ্ক্ষী। তবে মাঝেমধ্যে কুণালের যে কি হয়, আমাকে বুঝে দেখতে হবে। সেটা সামনাসামনি বলব। টিভিতে বলব না। তাঁর যদি কোন কনফিউশন থাকে তাহলে সব সময় এসে আমাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন। বৌদি এটা আমার ভালো লাগছে না।’
এখানেই শেষ নয়। সুপ্তি পান্ডের এদিন আরও বললেন, ‘থানায় গিয়েছেন ভালো করেছেন। তবে আমার সঙ্গে একবার আলোচনা করার প্রয়োজন ছিল। বলতে পারতেন, বৌদি যেটা শুনছি সেটা কি ঠিক? কুণাল তো আমার ঘনিষ্ঠ। উল্টে যাঁরা ওই কলেজের নন, তাদের কথা উনি শুনলেন। এর ফলে দুটো জিনিস হল। প্রথমত আমাকে অপমান করলেন। দুই প্রতিষ্ঠানের প্রধান কে অপমান করলেন।’
আরও পড়ুন: কর ছাড় থেকে রেল! উপহারের ডালি সাজিয়ে কেন্দ্রীয় বাজেট, হতে পারে এই ৫ বড় ঘোষণা
একই সাথে এদিন তিনি বললেন,’আমার ছাত্রদের নিয়ে কিছু বলার নেই। কিন্তু, আমার বিরোধী গোষ্ঠীর ছাত্র, এ কথাটা প্রমাণ করতে চাইলেন কে? যিনি এটা চাইছেন, তিনি কি দলের আদৌ ভাল চান? এলাকার শান্তি চান?’
সুপ্তি পান্ডের মন্তব্য নিয়ে কুণাল ঘোষ জানান, ‘বৌদিকে আমি শ্রদ্ধা করি। সম্মান করি। ঘরের লোক। একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘যারা আমার মিটিং মিছিলে আসেন, আমায় দাদা বলে ডাকেন। তারা কোন বিপদে পড়লে যাব যতবার ডাকবে ততবার যাওয়ার চেষ্টা করব। থানায় যাওয়ার আগে তার সঙ্গে আলোচনা করার প্রয়োজন ছিল বলেও মন্তব্য করেছেন সুপ্তি পান্ডে। এই নিয়ে কুণালের জবাব, ‘ ওখানে গিয়ে আমি তো কোন অন্যায়কে সমর্থন করছি না। সটান ওসির কাছে গিয়েছি। কি হয়েছে কথা বলে জেনে নিচ্ছিলাম।’