বাংলাহান্ট ডেস্ক : সপ্তাহে ৬০ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে শরীরে। সম্প্রতি একটি অর্থনৈতিক সমীক্ষায় এমনটাই জানানো হয়েছে। ভারতে (India) বাজেটের আগে শুক্রবার সংসদে পেশ করা অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, কাজের জন্য দীর্ঘক্ষণ ডেস্কে সময় কাটালে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর।
ভারতে (India) কর্মীদের উদ্দেশ্যে বড় খবর
একদিনে ১২ ঘন্টা বা তার বেশি সময় ধরে কাজ করলে ক্ষতি হতে পারে মানসিক স্বাস্থ্যের (Mental Health)। সংসদে পেশ করা অর্থনৈতিক সমীক্ষায় ‘স্যাপিয়েন ল্যাবস সেন্টার ফর হিউম্যান ব্রেন অ্যান্ড মাইন্ড’-র গবেষণাপত্র উল্লেখ করে বলা হয়েছে, মানসিক স্বাস্থ্যের নিরিখে ডেস্কে বসে কাজ করার সময়কে বিশ্লেষণ করে পরিস্কার ধারণা করা গিয়েছে।
আরোও পড়ুন : Budget 2025: বাজেটে সস্তা হল কোন জিনিস, দাম বাড়ল কীসের? দেখুন একঝলকে
দেখা গেছে, যারা ১০ ঘন্টা সময় ধরে কাজ করেন তাদের থেকে ১২ ঘন্টা বা তার বেশি সময় ধরে কাজ করা ব্যক্তি ১০০ পয়েন্ট কম পাবেন। অর্থনৈতিক সমীক্ষায় উল্লেখ করা এই তথ্যের বিশ্লেষণ করলে বোঝাই যাচ্ছে যারা ১২ ঘন্টা বা তার অধিক সময়ে ধরে কাজ করছেন তাদের থেকে দিনে ১০ ঘন্টা সময় কাজ করা ব্যক্তিদের মানসিক স্বাস্থ্য (Mental Health) অপেক্ষাকৃত ভালো থাকবে।
লারসেন অ্যান্ড টুব্রোর চেয়ারম্যান এসএন সুব্রহ্মণ্যন সম্প্রতি তার কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন যে, ‘আমি হতাশ যে আমি আপনাদের দিয়ে রবিবারও কাজ করাতে পারি না। আমি যদি আপনাদের রবিবার কাজ করাতে পারতাম, তাহলে আমি আরও খুশি হতাম। কারণ আমি নিজে রবিবার কাজ করি।’ ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি আবার কয়েক মাস আগে সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজের পক্ষে সওয়াল করেন।
আরোও পড়ুন : Budget 2025: পোস্ট অফিসের ভোলবদল! বাজেটেই বড় ঘোষণা করে দিলেন অর্থমন্ত্রী! কাদের লাভ হবে?
মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থতা বজায় রেখে সপ্তাহে কতক্ষণ কাজ করা উচিত সেই হিসাব নিয়ে যখন গোটা দেশ (India) তোলপাড়, তখনই অর্থনৈতিক সমীক্ষায় দিনে কতক্ষণ কাজ করা উচিত সেই বিষয়ে তথ্য তুলে ধরা হল। কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government) এবার স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ইতিবাচক রাখার জন্য সপ্তাহে ৬০ ঘন্টার বেশি কাজ করা উচিত নয়।
পাশাপাশি অর্থনৈতিক সমীক্ষায় কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির পক্ষেও সওয়াল করা হয়েছে এদিন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, কর্পোরেট সংস্থার মুনাফা বৃদ্ধির সাথে সাথে কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধিও হওয়া উচিত সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে। সংস্থার মুনাফা ও কর্মচারীর বেতনের মধ্যে যদি বৈষম্য বজায় থাকে তাহলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে দেশের অর্থনীতির উপর।