বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফের একবার সোমালি উপকূলে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে সোমালি জলদস্যুরা। ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত সোমালি জলদস্যুদের হাতে হাইজ্যাক হয়েছে কমপক্ষে ১৪ টি জাহাজ। তার আগেই অবশ্য ভারতীয় বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি রুয়েনকে হাইজ্যাক করার খবর সামনে এসেছিল। সেই হাইজ্যাক হওয়া জাহাজের সদস্যদের উদ্ধার করতে দুর্ধর্ষ অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা (Indian Army)।
ভারতীয় সেনার (Indian Army) দুঃসাহসিক অভিযান
সম্প্রতি জানা গিয়েছে, ভারতীয় সেনা (Indian Army) ‘অপারেশন সংকল্প’ অভিযানের অধীনে উদ্ধার অভিযান চালায় গত বছর ১৬ মার্চ। ভারতীয় বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার অক্ষয় সাক্সেনার নেতৃত্বে মাত্র ১০ ঘণ্টার মধ্যে বিমান চালিয়ে ১৮ জন বিশেষ বাহিনীর সদস্য (মার্কোস) এবং দু’টি রেইডিং ক্রাফট বোট এয়ারড্রপ করা হয় সোমালিয়ার উপকূলে।
আরোও পড়ুন : বাজেটের ধাক্কায় দালাল স্ট্রিটে অস্থিরতা, আদৌ লাভের মুখ দেখলেন লগ্নিকারীরা?
বাণিজ্যিক জাহাজে আটকে পড়া ১৭ জন সদস্যকে উদ্ধার করাই ছিল এই অভিযানের মূল লক্ষ্য। অভিযানে অভূতপূর্ব সাহসিকতার স্বীকৃতি স্বরূপ বায়ুসেনা পদকে ভূষিত করা হল উইং কমান্ডার সাক্সেনাকে। জানা গেছে, হাইজ্যাক হওয়া জাহাজ পুনরুদ্ধার করার পর ভারতীয় সেনা (Indian Army) আটক করে ৩৫ জন জলদস্যুকে।
আরোও পড়ুন : কড়া ডোজেই দিল কাজ! RG Kar দুর্নীতি মামলার ১০০% নথি নিয়ে, আদালতে হাজির CBI
পাশাপাশি ভারতীয় সেনা (Indian Army) এই মিশনে পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয় জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রিত জাহাজটিও। এই জাহাজ থেকেই জলদস্যুরা বিভিন্ন বাণিজ্যিক জাহাজ, এমনকি ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতা-র উপরেও গুলি বর্ষণ করে। সোমালিয়ার উপকূলে জলদস্যুদের শায়েস্তা করতে উইং কমান্ডার সাক্সেনার নেতৃত্বে এই দুঃসাহসিক অভিযানের পরিকল্পনা করে ভারতীয় সেনা।
পরিকল্পনার অংশ হিসাবে C-17 বিমানে দু’টি Combat Rubberised Raiding Craft (CRRC) বোট ও ১৮ জন মার্কোস কমান্ডো-কে এয়ারড্রপ করানো হয় সোমালি উপকূলে। ভারতীয় বিমান বাহিনীতে ২০০৬ সালে যোগদান করেন উইং কমান্ডার সাক্সেনা। ২০২১ সাল থেকে C 17 স্কোয়াড্রনের সাথে যুক্ত হয়েছেন তিনি। অত্যন্ত গোপন ও দুঃসাহসিক এই অভিযানে নেতৃত্ব দিয়ে নয়া নজির সৃষ্টি করেছেন ভারতীয় বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার অক্ষয় সাক্সেনা।