বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজনীতি থেকে বিনোদন, দুই দুনিয়ারই অতি পরিচিত মুখ দেব (Dev)। টলিপাড়ার এই সুপারস্টার ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী (Trinamool Congress) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিশেষ স্নেহের এক পাত্র। এবার আচমকা সেই দেবকেই চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
দেবকে চিঠিতে কী লিখলেন মমতা (Mamata Banerjee)?
চব্বিশের লোকসভা ভোটে ফের একবার ঘাটাল থেকে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের দেব। তাঁর লোকসভা অঞ্চলে বহুদিন ধরে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের বেশ কিছু দাবিদাওয়া ছিল। বিশেষত কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালের জরাজীর্ণ ও ভগ্নপ্রায় দশা নিয়ে বেশ কয়েকবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন সাংসদ দেব থেকে শুরু করে স্থানীয় সাংসদ শিউলি সাহা। এবার এই হাসপাতাল নিয়ে খুশির খবর শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী।
গত ৩০ জানুয়ারি ঘাটালের সাংসদকে একটি চিঠি পাঠান মমতা (Mamata Banerjee)। সেটি সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। সেই চিঠিতে জানানো হয়েছে, কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এর জন্য রাজ্য সরকার প্রায় ২৪ কোটি টাকা খরচ করেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর প্রেক্ষিতে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
আরও পড়ুনঃ ভেঙে পড়া বেআইনি বাড়ির বাসিন্দাদের জন্য ‘সুখবর’, এবার মাথার উপর ছাদ গড়ে দেবে রাজ্য
দেবকে দেওয়া চিঠিতে মমতা লিখেছেন, ‘জানতে খুশি হবে, কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালকে ৩০ বেড থেকে ৫০ বেডে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমাদের সরকার। এর জন্য আমাদের ২৪ কোটি টাকা খরচ হবে। মানুষকে আরও উন্নতমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা এই পদক্ষেপ নিলাম। সরকারের এই সদর্থক ভূমিকার কথা তুমি যথাযথভাবে এলাকাবাসীর নজরে আনবে, এই আশা রাখি’।
জানা যাচ্ছে, এতদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা ছিল ৩০টি। অধিকাংশ ভবনের অবস্থা ছিল জরাজীর্ণ এবং ভগ্নপ্রায়। ফলে হাসপাতালের বেড বাড়ানো থেকে শুরু করে ওই হাসপাতালের হাল ফেরানোর দাবি উঠেছে বহুবার। এই আবহে এবার হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)।
সম্প্রতি চিঠি দিয়ে মমতা (Mamata Banerjee) একথা জানানোর পর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী বলেন, ‘সম্পূর্ণ নতুন একটি ভবন নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যেখানে নতুন ‘এমারজেন্সি অপারেশন থিয়েটার কমপ্লেক্স’, ‘লেবার রুম’ সহ ৫০টি শয্যা রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে এখন শুধু নরমাল ডেলিভারি হয়। নতুন ভবন তৈরি হলে সেখানে যাতে সিজারের বন্দোবস্ত থাকে, আমরা সেই প্রস্তাব দেব’।