বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রবিবারই বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। গতকাল রাতে দু’ঘণ্টার অনলাইন বৈঠকের পরেই সব হাসপাতালে সতর্কবার্তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গুলেইন বাড়ি রোগে (Guillain Barre Syndrome) আক্রান্তদের সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই আবহে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য (Government of West Bengal)। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
গুলেইন বারি সিনড্রোম নিয়ে সতর্ক রাজ্য (Government of West Bengal)!
গুলেইন বারি রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। এই আবহে এই রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের (West Bengal Health Department) তরফ থেকে বড় পদক্ষেপ নেওয়া হল। এই বিষয়ে সকল হাসপাতালকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। কীভাবে এই রোগের মোকাবিলা করা যাবে তা নিয়ে গতকাল স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের নেতৃত্বে বিশেষ বৈঠকের আয়োজন হন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ, মেডিসিন ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞরা।
জানা যাচ্ছে, গুলেইন বারিতে আক্রান্ত হয়ে আর কারোর যাতে মৃত্যু না ঘটে সেই বিষয়ে সতর্ক রাজ্য (Government of West Bengal)। গতকালের ওই বিশেষ বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল, এই রোগে আক্রান্ত হয়ে আর কারোর যাতে প্রাণহানি না হয় সেদিকে নজর রাখা। এছাড়া যদি আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে সেই বিষয়ে পর্যালোচনা করা।
আরও পড়ুনঃ ছোট মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছে পুলিশ জামাই! সোজা হাইকোর্টে ছুটলেন শ্বশুর! তারপর যা হল…
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, ওই বৈঠকে জানতে চাওয়া হয়, বর্তমানে রাজ্যে গুলেইন বারিতে আক্রান্তের সংখ্যা কত? বর্তমানে আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থা কেমন? যদি এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, সেক্ষেত্রে হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো তৈরি রাখার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়াও জানা যাচ্ছে, স্নায়ুরোগ ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, কেউ এই রোগে আক্রান্ত কিনা সেটা লক্ষণ দেখে আগে থেকে কীভাবে চিহ্নিত করা যায়। গুলেইন বারিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার দরকার ছাড়া অযথা ইন্ট্রাভেনাস ইমিউনো গ্লোবিউলিন ও প্লাজমা থেরাপি না। ওষুধের সংকট যাতে না দেখা দেয়, সেই জন্য একথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গেই হাসপাতালে আসা কোনও রোগী যদি গুলেইন বারি পজিটিভ হয় সেই বিষয়ক তথ্য বাধ্যতামূলকভাবে জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্য ভবনে পাঠিয়ে দিতে হবে।
রিপোর্ট বলছে, গুলেইন বারির চিকিৎসার একটি প্রোটোকল বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ, কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে নিউরোলজি বিভাগে কম করে ২টি করে সিসিইউ বেড, বাচ্চাদের জন্য পিকু তথা পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের ২টি শয্যা তৈরি রাখতে বলা হয়েছে। আইসিইউ ও পিকুর চিকিৎসা কেমন হবে সেটাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
গুলেইন বারি রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় লাগাম টানতে রাজ্যের (Government of West Bengal) তরফ থেকে এমনই একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিল রাজ্য। প্রত্যেকটি হাসপাতালকে এই রোগের বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গেই বেশ কিছু নির্দেশও দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।