বাংলাহান্ট ডেস্ক : দ্বিতীয়বারের জন্য মার্কিন রাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসার পর, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সাথে ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মুখোমুখি হতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। জানা যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহেই ট্রাম্পের মুখোমুখি হবেন মোদি। রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার পর মোদি ও ট্রাম্পের প্রথম সাক্ষাৎ নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে।
নমোর (Narendra Modi) সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
২ দিনের প্যারিস সফরের পর ১৩ ফেব্রুয়ারি আমেরিকা গিয়ে পৌঁছবেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের সাথে ট্রাম্পের যে সাক্ষাৎকারের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেখানেই রয়েছে নরেন্দ্র মোদির নাম। শপথ নেওয়ার দুই-এক সপ্তাহের মধ্যে যে যে রাষ্ট্রপ্রধানরা ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাৎ করবেন তাদেরই একটি তালিকা প্রকাশ করে হোয়াইট হাউস।
আরোও পড়ুন : জাতপাত থেকে সরস্বতী পুজো! সংসদে দাঁড়িয়ে বিরোধীদের ঝাঁঝালো আক্রমণ সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-র
যদিও ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এই সাক্ষাতের বিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন যে, মোদি ও ট্রাম্পের মধ্যে যাতে বৈঠক সম্পাদিত হয় সেই চেষ্টাই চালানো হচ্ছে। সামরিক অস্ত্রের পাশাপাশি চিনের আগ্রাসন নীতি নিয়েও আলোচনা হতে পারে এই বৈঠকে। প্রথমবার রাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসার পরেই ট্রাম্পের সাথে ভারতের (India) সম্পর্ক আরো গভীর হয়। দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় একাধিক চুক্তি।
আরোও পড়ুন : এককথায় বেচেছিলেন কিডনি! প্রেমিকের হাত ধরে পালাল সেই স্ত্রী! কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ…
ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার রাষ্ট্রপতির সিংহাসনে অভিষিক্ত হওয়ার পর ভারত-মার্কিন (India-USA) সম্পর্ক আরো ত্বরান্বিত করাই লক্ষ্য নয়া দিল্লির। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, আমেরিকার (United States of America) শুল্ক নীতি সম্পর্কে কথা হতে পারে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের। ট্রাম্পের শুল্ক নীতি আলোড়ন ফেলে দিয়েছে গোটা বিশ্বজুড়ে।
অনেকেই ট্রাম্পের শুল্ক নীতি ঘিরে বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কাও দেখছেন। বস্তুত প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব নেওয়ার পরই কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আসা পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন ট্রাম্প। এমনকি ১০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে চিনা পণ্যের উপরেও। অন্যদিকে, সরকারি নির্দেশিকায় ট্রাম্পের স্বাক্ষরের পরেই পাল্টা কানাডা আমেরিকার পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে।
এমনকি পাল্টা শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে মেক্সিকো ও চিনও। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন যে, “আমেরিকান পণ্য কম কিনুন। আমেরিকার বদলে কানাডার পণ্য এবং পরিষেবাগুলি ব্যবহার করুন। কানাডার উপর শুল্ক চাপানোয় আপনাদের চাকরি নিয়েও টানাটানি পড়ে যেতে পারে।”