বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বঙ্গ বিজেপির (BJP) হেভিওয়েট সাংসদদের মধ্যে একজন হলেন সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। নিজ লোকসভা কেন্দ্রের উন্নয়নের পাশাপাশি রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নের দিকে সবসময় নজর থাকে তাঁর। এবার সেই প্রেক্ষিতেই মদের দোকান বন্ধ করে দেওয়া উচিত বলে অনুরোধ করলেন তিনি। বাংলার বুকে মাদকাসক্তের সংখ্যা হু হু করে বৃদ্ধি পেতেই রাজ্যের (Government of West Bengal) কাছে এই আর্জি জানালেন বিষ্ণুপুরের পদ্ম সাংসদ।
বাংলায় মাদকাসক্তের সংখ্যা কত? অফিশিয়াল পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)
পশ্চিমবঙ্গে মাদকাসক্তের সংখ্যা জানতে চেয়ে কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় কল্যাণ মন্ত্রকে চিঠি দিয়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ। তাঁর সেই প্রশ্নের উত্তরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের তরফ থেকে রাজ্যে মাদকাসক্তের পরিসংখ্যান সহ বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরা হয়। সেই তথ্যের প্রেক্ষিতেই রাজ্যের কাছে মদের দোকান বন্ধ হওয়া উচিত বলে অনুরোধ করেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ।
সৌমিত্র খাঁয়ের (Saumitra Khan) দেওয়া চিঠির জবাবে কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় কল্যাণ মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়, পশ্চিমবঙ্গে মদের নেশায় জর্জরিত মানুষের সংখ্যা ২৭ লক্ষ, গাঁজার নেশায় ১,৪৪,০০০, আফিমের নেশায় ৩,৪৩,০০০ এবং সেডাটিভের নেশায় আসক্তদের সংখ্যা ১,১২,০০০ জন।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূল ভার্সেস তৃণমূলে রক্তারক্তি কাণ্ড! দলের কর্মীর মা-ভাইকে কোপ বিধায়ক ঘনিষ্ঠের! তারপর যা হল…
পশ্চিমবঙ্গে মাদকাসক্তের সংখ্যা হু হু করে বৃদ্ধি পেলেও রাজ্যের ৮টি সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত জেলায় রাজ্য সরকার নেশা মুক্তি ভারত প্রকল্প বাস্তবায়িত করেনি বলে খবর। এছাড়াও জানা যাচ্ছে, ড্রাগ দূরবীকরণে রাজ্যের এনজিওগুলির জন্য ৪.০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও পরিস্থিতির কোনও বদল হয়নি। এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান তুলে ধরে রাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ করলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ।
সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan) বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৩৫ লক্ষ মানুষ নেশার সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছেন। এটা আমাদের কাছে ভীষণ লজ্জার ব্যাপার। কারণ পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে মদের দোকানের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে, প্রতি পঞ্চায়েতে মদের দোকান খোলার চিন্তাভাবনা চলছে, তাতে কিন্তু রাজ্যের আগামী যুব সম্প্রদায় ধ্বংসের মুখের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমি অনুরোধ করব রাজ্য সরকারের কাছে, আমার কাছে যে অফিশিয়াল তথ্য এসেছে, এটা সঠিক। কারণ এই তথ্য মিথ্যে কথা বলে না। তাই পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকটি মানুষকে সজাগ ও সচেতন হতে হবে এবং রাজ্যের প্রত্যেকটি পঞ্চায়েতে মদের দোকান খোলার পরিবর্তে মদের দোকান বন্ধ করে দেওয়া উচিত’।