বাংলাহান্ট ডেস্ক : চিন (China) প্রশাসন বেজিং শহরের কাছেই নির্মাণ করছে বিশালাকার মিলিটারি কমান্ড সেন্টার। সূত্রের খবর, এই মিলিটারি কমান্ড সেন্টারের আকার হতে চলেছে আমেরিকার পেন্টাগনের প্রায় ১০ গুণ বড়। ফিন্যান্সিয়াল টাইমস আমেরিকার গোয়েন্দাদের একটি দাবি উল্লেখ করে প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নয়া এই স্থাপত্য এতটাই বিশালাকার হতে চলেছে যে সেটিকে ‘বেজিং মিলিটারি সিটি’ নামে ডাকা হচ্ছে।
বড়সড় উদ্যোগ চিনের (China)
নতুন এই মিলিটারি কমান্ড সেন্টার নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে। স্যাটেলাইট ইমেজ থেকে এমনই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। প্রতিবেদনের রিপোর্ট অনুযায়ী, স্যাটেলাইট ইমেজে প্রকল্পের ১,৫০০ একর আয়তনের এলাকায় ধরা পড়েছে অসংখ্য গর্ত। যে অঞ্চলে এই স্থাপত্য নির্মাণ করা হচ্ছে সেটি চিনের (China) রাজধানী বেজিং থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।
আরোও পড়ুন : কেন্দ্রের বিধি মেনে রাজ্যজুড়ে সমীক্ষা! লাভবান হবেন কারা?
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, কয়েকশো বহুতল ও অসংখ্য অত্যাধুনিক বাঙ্কার থাকতে চলেছে বেজিং মিলিটারি সিটি-তে। পরমাণু হামলা বা যুদ্ধের সময় রাজনৈতিক নেতা ব্যক্তিত্ব থেকে বড় আমলারা আশ্রয় নিতে পারবেন এই বাঙ্কারগুলিতে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিনা গবেষক দাবি করেছেন, আমেরিকার (United States of America) পেন্টাগনের আয়তনের অন্তত ১০ গুণ বড় এই প্রকল্প। শি জিনপিংয়ের আমেরিকাকে পিছনে ফেলে দেওয়ার স্বপ্নের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এই স্থাপত্য।
আরোও পড়ুন : ‘টাটা করতে সুপারিশ করব,’ ঘোর অসন্তুষ্ট কলকাতা হাই কোর্ট
এই চিনা গবেষকের আরো দাবি, ‘এই ধরনের দুর্গ নির্মাণের একটাই কারণ থাকতে পারে। যা ধ্বংসের দিনগুলিতে চিনের ক্রমবর্ধমান এবং শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর জন্য বাঙ্কার হিসাবে কাজ করবে।’ সংশ্লিষ্ট মহল জানাচ্ছে, সামরিক কর্তাদের প্রকল্প এলাকায় দেখা যায়নি। তবে প্রকল্প এলাকার ৪ কিলোমিটারের মধ্যে ড্রোন ওড়ানো বা ছবি তোলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সতর্কবার্তাসূচক চিহ্ন দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র চিন সংক্রান্ত বিশ্লেষণ শাখার প্রাক্তন প্রধান ডেনিস ওয়াইল্ডার বলেছেন, ‘যা দাবি করা হচ্ছে, তা যদি সত্যি হয়, তাহলে বুঝতে হবে, চিনের এই নয়া ভূগর্ভস্থ কমান্ড বাঙ্কার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-সহ সেনার শীর্ষ নেতৃত্বের জন্যই নির্মাণ করা হচ্ছে। তার মানে চিন শুধুমাত্র বিশ্বমানের গতানুগতিক সেনাবাহিনী গড়েই ক্ষান্ত হবে না। তারা এক অতি আধুনিক সামরিক পারদর্শিতা অর্জন করার পথে এগিয়ে চলেছে।’
বীরভূমে তৃণমূলের পার্টি অফিসে মদ্যপানের আসর! অনুব্রতকে নিশানা করে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য কাজলের