বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বুধবার থেকেই কলকাতায় শুরু হয়ে গিয়েছে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। আজ এবং আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুদিন ব্যাপী চলবে এই বাণিজ্য সম্মেলন। আর এই বাণিজ্য সম্মেলনের শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই বিশ্ব সম্মেলনের টেন্ডার নিয়ে সরাসরি খোঁচা দিলেন রাজ্য সরকারকে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রশ্ন সম্মেলনের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব কোন টেন্ডার ছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয় কেন?
বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)
শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য রাস্তা থেকে জল রাজ্যজুড়ে এমনই একাধিক ক্ষেত্রে হামেশাই উঠে আসে দুর্নীতির অভিযোগ। এবার খাস কলকাতার বুকে আয়োজিত আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ব বঙ্গ সম্মেলন নিয়েও উঠল দুর্নীতির অভিযোগ। এপ্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলে দিয়ে শুভেন্দুবাবু (Suvendu Adhikari) বললেন, একটা কোম্পানিকে কিছু টাকা পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রত্যেক বছর একটা বাৎসরিক উৎসব করা হচ্ছে।
বিস্ফোরক দাবি করে এরপরেই তিনি জানিয়েছেন, ‘এখনও পর্যন্ত যেকটা বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হয়েছে তাতে ১৪ থেকে ১৫ লক্ষ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে।’ কিন্তু কেউ কোথাও কোনো বিনিয়োগ দেখতে পাচ্ছেন বলেই দাবি করেছেন বিজেপি নেতা।
শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কথায়, ২০২১ সালের পর ডাবরের কারখানা পালিয়েছে, বন্ধ হয়েছে কেশরাম রেয়ন। ঝাঁপ বন্ধ হয়েছে নৈহাটি, ভদ্রেশ্বর জুটমিলের।ডানকুনির বিস্কুট তৈরির কারখানাও বন্ধ। এরপরেই শুভেন্দু দাবি করেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন ঘনিষ্ঠ লোক রয়েছেন। এই সম্মেলনের দায়িত্ব তাঁকেই দেয়া হয়। টেন্ডার ছাড়া ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। এই টাকা ঝাড়ার জন্য এটা করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: অপেক্ষার অবসান! দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন কবে? দিনক্ষণ জানিয়ে দিলেন মমতা
রাজ্যে পালা বদলের পর তৃণমূল জামানায় রাজ্যের শিল্প পরিকাঠামো একেবারে ভেঙে পড়েছে। এজন্য মূলত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমি নীতিকেই দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তৃণমূল সরকারের SEZ বিরোধী ও জমি অধিগ্রহণ বিরোধী নীতির ফলে বড় শিল্পপতিরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে।
যদিও পশ্চিমবঙ্গের ছেলেমেয়েদের ভিনরাজ্যে গিয়েই শিল্পক্ষেত্রে শ্রমিকের কাজ করতে হচ্ছে। এই বিষয়টি এখন এক প্রকার মেনে নিয়েছে তৃণমূলও। তাই রাজ্য সরকারের তরফে কখনওই পশ্চিমবঙ্গে ভারী উৎপাদন শিল্পে বৃদ্ধির তথ্য তুলে ধরা হয় না। বরং মুখ্যমন্ত্রীকে বারবার বলতে শোনা যায়, পশ্চিমবঙ্গ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে এক নম্বরে।