বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইতিহাস মুছে ফেলার এক নাছোড়বান্দা প্রচেষ্টা বাংলাদেশে (Bangladesh)। বাংলাদেশের জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের ঢাকার ধানমন্ডির বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল বুলডোজার দিয়ে। দাউ দাউ করে জ্বলল শেখ হাসিনার পিতা তথা স্বাধীন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবর রহমানের বাড়ি।
চরম খারাপ অবস্থা বাংলাদেশের (Bangladesh)
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই ভারতে এসে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। সেদিনই বিক্ষোভকারীরা আক্রমণ করেছিল ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে। ঢাকা সহ বাংলাদেশের একাধিক জায়গায় প্রতিবাদীরা ভেঙে ফেলতে শুরু করে বঙ্গবন্ধুর মূর্তি। ফের বুধবার রাতে ধানমন্ডির বাড়িতে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা।
আরোও পড়ুন : ৩৯ শতাংশ DA মেটাতেই হবে মুখ্যমন্ত্রীকে! বাজেটে বকেয়া না পেলে যা করতে চলেছেন সরকারি কর্মীরা
বৃহস্পতিবার সকালে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি। ঢাকায় এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। ভারত থেকেই হাসিনার বক্তব্য, ‘এই বাড়ি থেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন জাতির পিতা। তাহলে এই বাড়ি কারা ভাঙল? দেশের স্বাধীনতা কয়েকজন বুলডোজ়ার দিয়ে ভেঙে ফেলবে এই শক্তি তাদের হয়নি। তাঁরা একটা দালান ভেঙে ফেলতে পারে, কিন্তু ইতিহাস মুছতে পারে না।’
আরোও পড়ুন : আইন আসুক! গোটা দেশে আমিষ খাবার নিষিদ্ধ করা হোক! হেভিওয়েট তৃণমূল তারকা সাংসদের দাবিতে শোরগোল
একটি ভিডিও বার্তায় শেখ হাসিনা ‘বেইমান’ ইউনূসকে রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যে সংবিধান, স্বাধীনতা, পতাকা পেয়েছি— তা কয়েক জন বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিতে পারবে না। এ শক্তি তাঁদের এখনও হয়নি। এটি তাঁদের দুর্বলতার প্রকাশ। তাঁরা দালান ভাঙতে পারে, কিন্তু ইতিহাসকে ধ্বংস করতে পারে না। ইতিহাস যে প্রতিশোধ নেয়। এ কথা তাঁদের মনে রাখতে হবে। যাঁরা এ সব করছেন, তাঁরা হীন মনের পরিচয় দিচ্ছেন। তাঁদের হয়তো বাংলাদেশের স্বাধীনতা পছন্দ নয়। পাকিস্তানিদের অধীনে থাকা এবং পদলেহন করাটাই হয়তো তাঁদের পছন্দ।”
হাসিনা দাবি করেন ইউনূস সরকার তালিবানি কায়দায় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে বাংলাদেশে। হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশকে নিয়ে ধ্বংসের খেলা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল ছিল, উন্নয়নের বিস্ময় ছিল। সেই বাংলাদেশকে চরম ভাবে ধ্বংস করে জঙ্গি, সন্ত্রাসীদের দেশ হিসাবে পরিণত করা হয়েছে। এটিই হল সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয়।”
পাশাপাশি মহম্মদ ইউনূসকে তীব্র আক্রমণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যার বক্তব্য, “১৯৯০ সালে গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের পদে ৬০০০ টাকার বেতনের চাকরি পেয়েছিলেন। আমি ১৯৯৬ সালে সরকারে আসার পরে এই গ্রামীণ ব্যাঙ্ককে ৪০০ কোটি টাকা দিয়ে দাঁড় করিয়ে দিই। গ্রামীণ ফোনের ব্যবসাও ইউনুসকে দিয়েছিলাম। আমার কাছে বারবার ধর্না দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সেখান থেকে লাভের অংশ গ্রামীণ ব্যাঙ্কে যাবে। কিন্তু তা যায়নি। তিনি আর্থিক দুর্নীতি করেছেন। তাঁর ক্ষমতার লোভ আজ বাংলাদেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে এসেছে।”