প্রতিবন্ধী মহিলাদের পাল্টে যাবে জীবন! বিরাট সিদ্ধান্ত নিলেন আদানি-পুত্র জিৎ, ধন্য ধন্য করছে গোটা দেশ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আগামীকাল অর্থাৎ ৭ ফেব্রুয়ারি বিবাহ সম্পন্ন হবে ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধনকুবের গৌতম আদানির (Gautam Adani) ছোট ছেলে জিৎ আদানির। এদিকে, বিয়ের আগেই বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জিৎ। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, বিয়ের আগে প্রতি বছর ৫০০ জন প্রতিবন্ধী মহিলার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জিৎ আদানি।

বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন গৌতম আদানির (Gautam Adani) কনিষ্ঠ পুত্র জিৎ:

আসলে বিয়ের আগেই প্রতিবন্ধী মহিলাদের জন্য “মঙ্গল সেবা” কর্মসূচি শুরু করেছেন জিৎ আদানি। এর অধীনে, তিনি প্রতি বছর ৫০০ জন প্রতিবন্ধী নববিবাহিতা মহিলার প্রত্যেককে ১০ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা দেবেন। জানিয়ে রাখি যে, জিৎ আদানি এবং দিবা শাহের বৈবাহিক অনুষ্ঠান শুক্রবার আহমেদাবাদে সম্পন্ন হবে।

ছেলের এই মহৎ কাজের প্রসঙ্গে কি জানিয়েছেন আদানি: জানিয়ে রাখি যে, জিৎ আদানির এই মহৎ ভাবনা তাঁর বাবা গৌতম আদানির (Gautam Adani) চিন্তাধারা থেকে অনুপ্রাণিত। তিনি বিশ্বাস করেন সেবাই ধ্যান, সেবাই প্রার্থনা এবং সেবাই ভগবান। তাঁর ছেলের এই মহৎ কাজের জন্য আনন্দ প্রকাশ করে, গৌতম আদানি “X” মাধ্যমে লিখেছেন যে, “ছেলে জিৎ এবং পুত্রবধূ দিবা একটি মহৎ কাজের মাধ্যমে তাদের নতুন জীবন শুরু করছে। এই উদ্যোগ অনেক প্রতিবন্ধী মহিলা ও তাঁদের পরিবারের জীবনে সুখ বয়ে আনবে।” এদিকে, সেবার এই পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি জিৎ ও দিবাকে আশীর্বাদও করেন।

আরও পড়ুন: কোটি কোটি যাত্রীদের জন্য বিরাট উপহার রেলের! এই একটি অ্যাপেই হবে সব সমস্যার সমাধান

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, জিৎ আদানি হলেন আদানি এয়ারপোর্ট হোল্ডিংসের ডিরেক্টর। এই কোম্পানিটি ভারতের বৃহত্তম বিমানবন্দর কোম্পানি হিসেবে বিবেচিত হয়। যেটি আটটি বিমানবন্দরের ম্যানেজমেন্ট ও ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করে। এদিকে বিমানবন্দর ছাড়াও, গৌতম আদানির (Gautam Adani) কনিষ্ঠ পুত্র জিৎ আদানি গ্রুপের প্রতিরক্ষা, পেট্রোকেমিক্যাল এবং কপার বিজনেসের দেখাশোনা করছেন। জিৎ আদানি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে মা প্রীতি আদানি দ্বারা অনুপ্রাণিত। আদানি ফাউন্ডেশনে কাজ করেন প্রীতি।

আরও পড়ুন: ৩০-০ গোলে পরাজয়! এই টিমের কাছে শোচনীয় হার ভারতের

১০ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হবে: আসলে বিবাহের পরে আর্থিক অক্ষমতা প্রতিবন্ধী মহিলাদের জীবনকে আরও চ্যালেঞ্জিং করে তুলতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে ওই মহিলারা ১০ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্যে তাঁদের জীবন উন্নত করতে পারেন। এই টাকা দিয়ে তাঁর ছোট ব্যবসাও শুরু করতে পারেন। অর্থাৎ, তাঁদের স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর