বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য। প্রশ্ন উঠেছিল স্যালাইনের (Saline Inciedent) গুণমান নিয়ে। ইতিমধ্যেই সেই জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। এবার সেই মামলাতেই রিপোর্ট জমা দিল রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)।
বড় নির্দেশ হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির!
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে একইদিনে সিজার হওয়া পাঁচজন প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। এই স্যালাইন কাণ্ড তোলপাড় ফেলেছিল রাজ্যে। প্রশ্নের মুখে এসে পড়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। এবার ওই ঘটনার প্রেক্ষিতেই উচ্চ আদালতে রিপোর্ট জমা দিল রাজ্য সরকার।
আগেই জানা গিয়েছিল, মেদিনীপুর মেডিক্যালে স্যালাইন কাণ্ডের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় রিপোর্ট দিয়েছে রাজ্য। সেখানে বলা হয়েছে, গত জানুয়ারি মাসের ৮ এবং ৯ তারিখ হাসপাতালে আরএমও ছিলেন না। সেই সঙ্গেই সিনিয়র চিকিৎসকরাও ছিলেন না। একসঙ্গে পাঁচ জন প্রসূতি ভর্তি হন। স্টেট ড্রাগ কন্ট্রোল জানিয়েছে, স্যালাইনে কোনও সমস্যা ছিল না।
আরও পড়ুনঃ প্রথমবার স্লট পেল মিত্তির বাড়ি! পরিণীতা, ফুলকিরা কত নম্বরে? রইল ওলটপালট TRP তালিকা
রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইন কাণ্ডে হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়ে এমনটাই দাবি করেছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, প্রসূতির মৃত্যু এবং অসুস্থতার ঘটনা কীভাবে ঘটেছিল সেটা তদন্ত করে দেখছে সিআইডি। এজি কিশোর দত্ত আরও জানান, ইতিমধ্যেই ৩০,০০০ বোতল স্যালাইনের ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছে। অসুস্থদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করেছে রাজ্য সরকার। ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আরও একটি রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। তবে এখনই সেই অংশ প্রকাশ্যে আনা হবে না। অন্যদিকে ওই স্যালাইন প্রস্তুতকারী সংস্থার তরফ থেকে আদালতে দাবি করা হয়, তারা প্রায় দেড় কোটি বোতল স্যালাইন উৎপাদন করেছিল। কিন্তু এমন ঘটনা কীভাবে ঘটল সেটা তারাও বুঝতে পারছেন না। ব্যাপারটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মেদিনীপুর মেডিক্যালের এই ঘটনার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি বলেন, স্যালাইনের গুণমানের দায় রাজ্য এড়াতে পারে না। জাস্টিস টি এস শিবজ্ঞানমের নির্দেশ, মামলাকারীর আইনজীবী সহ বাকিদের এই রিপোর্টর কপি দিতে হবে। ১০ দিন পর ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।