বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতা (Kolkata) পুরসভার একাধিক জায়গায় সুষ্ঠু এবং সুসংগঠিত হকার নীতি কার্যকর করার লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। গত বছরের দুর্গা পুজোর আগে থেকেই হকারদের নিয়ে বিস্তারিত সমীক্ষার কাজ শুরু করেছিল পুরসভা। সেই সমীক্ষার ভিত্তিতেই হকারদের ‘ভেন্ডিং সার্টিফিকেট’ বা শংসাপত্র দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। শহরের ফুটপাত গুলোকে আরো বেশি শৃঙ্খলাবদ্ধ করার জন্য একটি স্বচ্ছ এবং ন্যায্য ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরি করাই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।
কলকাতার (Kolkata) হকাররা পাবেন ‘ভেন্ডিং সার্টিফিকেট’
কলকাতা (Kolkata) পুরসভার সমীক্ষা অনুযায়ী শহরে মোট নথিভুক্ত হকারের সংখ্যা ৫৪,১৭৮। এই সমীক্ষা প্রক্রিয়ায় প্রত্যেক হকারের ব্যবসার স্থান, নাম,প্যান এবং আধার কার্ডের বিবরণ সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়াও ডিজিটাল পদ্ধতিতে জিয়ো-ট্যাগিংয়ের মাধ্যমে হকারদের অবস্থান সুনির্দিষ্টভাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে কোন হকার ফুটপাতের কতটা জায়গা নিয়ে ব্যবসা করছেন সেটাও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়েছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই কলকাতার (Kolkata) হকার নীতি ঠিক করতে এই সমীক্ষার কাজ শুরু হয়। তবে গত বছরে দুর্গাপুজো এবং আরজি কর কার্ডের জেরে পরিস্থিতি সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল প্রশাসন। যার ফলে হকারদের বিষয়টি মাঝ পথে এই খানিকটা থমকে গিয়েছিল। তবে এবার নতুন বছরের শুরুতেই অসমাপ্ত কাজ আবার শুরু করার জন্য উদ্যোগী হয়েছে কলকাতা পুরসভা।
আরও পড়ুন: রাজ্যের শিক্ষকদের জন্য বিরাট কড়াকড়ি! নির্দেশিকা জারি করল পর্ষদ
নতুন হকার নীতির অধীনে এবার থেকে শুধুমাত্র ফুটপাতে বসা হকাররাই ভেন্ডিং সার্টিফিকেট পাবেন। তবে যে সমস্ত হকার একাধিক স্থানে বসে ব্যবসা চালান তাদের জন্য কড়া নিয়ম প্রয়োগ করা হবে। অন্যদিকে এই শংসাপত্র দেওয়ার জন্য বিশাল পরিকাঠামোগত প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাই চুক্তিভিত্তিক ‘ডেটা এন্ট্রি অপারেটর’ নিয়োগেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা (Kolkata) পুরসভা। আধিকারিকদের মতে হকারদের ব্যবসা করার নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণের পাশাপাশি নন-ভেন্ডিং জ়োনও চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে শহরের যানজট এবং পথচলতি মানুষের চলাচলে বাধা কমবে বলে আশাবাদী পুরসভা।
কলকাতা পুরসভার উদ্যোগের মাধ্যমে হকারদের ব্যবসার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ফুটপাত গুলিতেও শৃঙ্খলা বজায় রাখা যাবে। এছাড়া অবৈধ দখলদারি কমানো,শহরের সৌন্দর্য রক্ষা এবং পথ চলতি মানুষের সুবিধা নিশ্চিত করা এই নীতির মূল লক্ষ্য হতে চলেছে। কলকাতা পুরসভার এই পদক্ষেপ শহরের হকারদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক তৈরি করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এটি শহরের ব্যবসায়িক পরিবেশে ইতিবাচক বদল আনবে এবং হকারদের জীবনেও নিশ্চয়তা আনবে বলে মনে করা হচ্ছে।