আবাসের টাকা পেয়েও শান্তি নেই! বাড়ি তৈরী করতে গিয়ে মহা সমস্যায় গড়বেতার মানুষ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছরের শেষে আবাস যোজনায় (Awas Yojana) বাড়ি তৈরির টাকা দেওয়ার পর থেকে শুরু হয়েছে বাড়ি তৈরির কাজ। এরই মধ্যে বালি নিয়ে হাহাকার দেখা গিয়েছে গড়বেতায় ও তার আশপাশের এলাকায়। অথচ এই গড়বেতাই বালির গড় বলে পরিচিত ছিল। অথচ এখন সর্বোচ্চ চাহিদা থাকলেও জোগান নেই বালির। আর তা নিয়েই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। এই সুযোগে খোঁচা দিচ্ছে বিরোধীরাও। যদিও জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর বালি খাদান খোলার  প্রক্রিয়াও ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে।

বালির অভাবে থমকে আবাসের (Awas Yojana) বাড়ি তৈরির কাজ

গড়বেতায় একসময় বর্ষাকাল বাদে সারা বছর বালি পাওয়া যেত। সেই  বালির দামও থাকত মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাইরেও গাড়ি-গাড়ি বালি পাঠাতেন বালি কারবারিরা। তখন বালি নিয়ে অভিযোগও উঠত। তবে সেসব এখন অতীত। এই শীতেও বালি নেই গড়বেতায়। খোঁজ নিয়ে জানা যাচ্ছে, গড়বেতা ও তার আশেপাশের এলাকায় শিলাবতী নদী অববাহিকায় এখন একটিও বালির খাদান চালু নেই। কিন্তু কেন?

বালির খুচরো ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন এ প্রসঙ্গে যুক্তি দিয়ে বলেছেন, বর্ষাকালে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর খাদানগুলি থেকে যথেচ্ছাচারভাবে বালি তোলার ফলে নদীতেই বালির যোগান অনেক কমে গিয়েছে। তাই আপাতত স্যান্ডব্লক বা বালি খাদান খোলার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। অন্যদিকে বালির মূল কারবারিদের বক্তব্য আবার আলাদা। তাঁদের দাবি অনলাইনে বিশেষ পোর্টালের মাধ্যমে ই-অকশন করে বালির বরাত দেওয়া হয়। কিন্তু সেই পোর্টাল দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এরফলে বহুদিন অকশন বা টেন্ডার কিছুই হয়নি। যার ফলে ইচ্ছা থাকলেও নিয়মের জটিলতার কারণে খাদান খোলার বরাত পাচ্ছে না কেউ।

আরও পড়ুন: চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ! ১৯ জনকে তলব করল স্বাস্থ্যভবন

অন্যদিকে এই সময় আবাসের (Awas Yojana) বাড়ি নির্মাণের জন্য রাজ্য জুড়ে বালির ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। তাই চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বালি পাচ্ছেন না উপভোক্তারা। তাই উপায় না পেয়ে বাড়ির তৈরির কাজ এগোতে কেউ বস্তায় ভরে বালি আনছেন, আবার কেউ বেশি টাকা দিয়ে ট্রাক্টর ভাড়া করে পার্শ্ববর্তী বাঁকুড়া বা ঝাড়গ্রাম জেলা থেকে বালি আনাছেন। আবার অনেকে বালির অভাবে বাড়ি তৈরি করতে পারছে না।

Awas Yojana

দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চেয়ে শিলাবতী নদী পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘গড়বেতা এলাকায় ৪ টি বালি ঘাটের অকশন হয়েছে, আশা করি কিছুদিনের মধ্যেই, বালির জোগান স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর