‘প্রয়োজন নেই…’! সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে গেল তিলোত্তমার মা-বাবার ‘এই’ আর্জি

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের (RG Kar Case) ঘটনায় গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে উত্তাল বাংলা। ইতিমধ্যেই এই জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) অবধি। শীর্ষ আদালতে চলছে এই মামলার শুনানি। এবার সেখান থেকেই নির্যাতিতার মা-বাবার একটি আর্জি খারিজ করে দেওয়া হল।

তিলোত্তমার মা-বাবার কোন আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)?

গত ৯ আগস্ট ওলটপালট হয়ে গিয়েছে তাঁদের জীবন। আরজি কর নির্যাতিতার মা-বাবার মনে মেয়েকে হারানোর ক্ষত এখনও টাটকা। সম্প্রতি এই মামলার তদন্ত নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিল তিলোত্তমার পরিবার। তাঁদের বক্তব্য ছিল, সিবিআইয়ের তদন্তে ত্রুটি আছে। বহু প্রশ্নের উত্তর অধরা। সেই কারণে ফের সিবিআইয়ের বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা উচিত।

উচ্চ আদালতের তরফ থেকে নির্যাতিতার পরিবারকে বলা হয়, এই মামলা শোনার জন্য সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) অথবা প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের অনুমতি প্রয়োজন। সেই অনুযায়ী শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় তিলোত্তমার মা-বাবা। আগামী ১৭ মার্চ সেই মামলার শুনানির দিন ঠিক হয়েছিল। তবে কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি চেয়ে ও দ্রুত শুনানির আবেদন জানিয়ে শুক্রবার ফের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন নিহত তরুণী চিকিৎসকের পরিবারের আইনজীবী।

আরও পড়ুনঃ আরজি কর কাণ্ডে সঞ্জয়ের ফাঁসি হবে? বিরাট রায় দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট

এদিন সেই আবেদন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, এই মামলায় তাড়াহুড়ো করার দরকার রয়েছে বলে তিনি মনে করছেন না। পূর্ব নির্ধারিত দিন তথা আগামী ১৭ মার্চই এই মামলার শুনানি হবে। কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি, পুনরায় সিবিআই তদন্ত হবে কিনা, সেটা সেদিনই শুনবে সুপ্রিম কোর্ট।

উল্লেখ্য, আরজি কর ধর্ষণ খুন কাণ্ডের চার্জশিটে সিবিআইয়ের তরফ থেকে শুধুমাত্র সঞ্জয়কেই অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, সঞ্জয় একা এই ঘটনায় জড়িত নন। আরও কেউ এর সঙ্গে যুক্ত বলে সন্দেহ তাঁদের। প্রত্যেক দোষীর কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এরপর তদন্ত নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে প্রথমে কলকাতা হাইকোর্ট এবং পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয় তিলোত্তমার পরিবার। দ্রুত শুনানির আর্জিও জানিয়েছিল তাঁরা। তবে এদিন শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, নির্যাতিতার মা-বাবার মামলায় তাড়াহুড়োর কোনও দরকার নেই। পূর্ব নির্ধারিত দিনেই এই মামলা শোনা হবে।