বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগামী সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে মাধ্যমিক (Madhyamik)। এটাই রাজ্যের পড়ুয়াদের জীবনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। তাই প্রত্যেক বছরেই উচ্চ-মাধ্যমিকের তুলনায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশী থাকে। জানা যাচ্ছে এবছর মোট ৪৫,২০১ জন পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসছেন। হিসাব বলছে গতবছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের তুলনায় এবছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৩,২৭৪ জন।
মাধ্যমিক (Madhyamik ) শুরুর আগেই বিরাট চমক পুরুলিয়ায়
অন্যদিকে এবারের মাধ্যমিক (Madhyamik) পরীক্ষায় নতুন রেকর্ড গড়ল জঙ্গলমহল পুরুলিয়ায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। এই জেলায় একধাক্কায় বাড়ল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সংখ্যা। সেইসাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ল ছাত্রী সংখ্যাও। রিপোর্ট বলছে এবছর মাধ্যমিকের মোট ছাত্র ২২,৫০২ জন। আর ছাত্রীর সংখ্যা মোট ২২,৬৯৯ জন। পরিসংখ্যানের হিসাবে ছাত্রের চেয়ে মোট ১৯৭ জন বেশি ছাত্রী এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসছেন। জানা যাচ্ছে,বিগত কয়েক বছর ধরেই এই জেলায় ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা বাড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। যা বজায় থাকল এই বছরেও।
সুষ্ঠভাবে মাধ্যমিক (Madhyamik) পরীক্ষা পরিচালনা করার জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কর্তারা জেলায় এসে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক পরীক্ষার আহ্বায়ক সোমনাথ কুইরি এবং যুগ্ম আহবায়ক দীপক পাল-সহ পরীক্ষা পরিচালন কমিটি সহ শিক্ষা প্রশাসনের আধিকারিকরা। পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আলোচনা করা হয়েছে ওই বৈঠকে। জেলা শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তা বজায় রাখতে নেওয়া হচ্ছে একাধিক কড়া পদক্ষেপ। জানা যাচ্ছে, মোবাইল ফোন নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে,পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনও পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে এবছরের মতো তার পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হবে। এছাড়া বিগত বছরের মতই এবারও স্মার্ট ওয়াচ, ট্যাবলেট, ইয়ারফোন-সহ ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসকে সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আবাসের টাকা পেয়েও শান্তি নেই! বাড়ি তৈরী করতে গিয়ে মহা সমস্যায় গড়বেতার মানুষ
এখানেই শেষ নয় পরীক্ষার্থীরা যাতে সঠিক সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পারে সে ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। তার জন্য জেলা জুড়ে চালু রাখা হচ্ছে ট্রাফিক ব্যবস্থা-সহ পর্যাপ্ত পরিবহণ ব্যবস্থাও। এছাড়াও হাতি উপদ্রুত এলাকাগুলিতে বনদপ্তর ও স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের সমন্বয়ে বাসে করে একযোগে সমস্ত পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় ছাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বিরাট খুশি জেলা শিক্ষামহল। শাসকদলের শিক্ষাসেলের জেলা সভাপতি সত্যকিংকর মাহাতো এবং জেলা মুখপাত্র বিকাশ মাহাতো এপ্রসঙ্গে বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প কন্যাশ্রীর হাত ধরেই জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর নিরিখে ছাত্রী সংখ্যা বেড়েছে।’