বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইতিহাসের খাতায় নাম লেখানো ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাড়িটি। ‘বঙ্গবন্ধু’ শেখ মুজিবুর রহমানের শেষ স্মৃতিচিহ্নও নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) একদল বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে পড়ে। বুধবার রাতেই এই বাড়ির উপরে চড়াও হয়েছিল একদল ক্ষুব্ধ জনতা। ভাঙচুরের পর আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বাড়িতে। বর্তমানে বাড়ির হাড় কঙ্কাল বেরিয়ে পড়েছে। কিন্তু বন্ধ হয়নি লুট।
বাংলাদেশে (Bangladesh) মুজিবের ভাঙাচোরা বাড়িতে চলছে লুট
বুধবার রাত থেকেই দরজা, আসবাবপত্র লুট হয়েছে। এবার ঢালাইয়ের লোহা, ইট পর্যন্ত খুলে নিয়ে যাচ্ছে মানুষজন। ইউনূস সরকারের ‘শাসানি’ সত্ত্বেও থামেনি লুট। বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বেলা পর্যন্ত এক দিনমজুর ব্যক্তি প্রায় ৬ কেজি লোহার রড কেটে নিয়ে গিয়েছেন ওই বাড়ি থেকে। ওই রড বেচেই একটু ভালোমন্দ খাবেন। কেউ আবার ব্যাগ বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন রডের টুকরো, ইট। প্রতিবেদন থেকে আরো জানা গিয়েছে, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরও রক্ষা পায়নি দুষ্কৃতী হানা থেকে। অনেক মূল্যবান বই এবং অন্যান্য সামগ্রী তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছে বাংলাদেশেরই (Bangladesh) সংবাদ মাধ্যম।
কী বিবৃতি দেয় ইউনূস সরকার: শুধু কি লুঠতরাজ, মুজিবের (Bangladesh) ভগ্ন বাড়ির সামনে দেদারে চলছে সেলফি শুটও। এদিকে এই সমস্ত কাণ্ডের জন্য বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্তও যাবতীয় দোষ শেখ হাসিনার ঘাড়ে চাপিয়েছিল মহম্মদ ইউনূসের সরকার। ভারতে বসে হাসিনার ‘উসকানিমূলক’ ভাষণের প্রতিক্রিয়া হিসেবেই নাকি ধ্বংসলীলা চলেছে মুজিবের বাড়ির উপরে। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতেই ফের সুর বদলায় ইউনূস (Bangladesh) সরকার। দ্বিতীয় বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘অন্তর্বর্তী সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে, কতিপয় ব্যক্তি ও গোষ্ঠী সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করছে। সরকার এই ধরনের কর্মকাণ্ড শক্তভাবে প্রতিহত করবে।’
আরো পড়ুন : জগদ্ধাত্রীকে টপকে হু হু করে এগোলো ‘কথা’, “TRP টপার’ হতে নয়া ভিলেনের এন্ট্রি সিরিয়ালে!
এখনো চলছে লুট: সেই সঙ্গে আরো বলা হয়, ‘অন্তর্বর্তী সরকার নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রস্তুত। কোনো ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হলে দায়ী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেবে এবং দোষীদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাবে।’
আরো পড়ুন : TRP টানতে নায়কেই ভরসা, পাঁচ মাসেই নতুন হিরোর এন্ট্রি এই সিরিয়ালে
কিন্তু বিবৃতিই সার। ইউনূসের ‘কড়া পদক্ষেপ’ এর কার্যত তোয়াক্কা না করেই যেভাবে লুট চলছে তাতে বাংলাদেশের (Bangladesh) জনতাদের অধিকাংশেরই মত, এই বার্তায় আদৌ কোনো লাভ নেই। উল্লেখ্য, গত বছর হাসিনা সরকারের পতনের পরেও হামলার মুখে পড়েছিল মুজিবের এই বাড়ি। তারপর পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল বাড়িটি। কিন্তু সরকার পতনের ছ মাস হতে না হতেই ফের হামলা হল বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে।