বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিল্প নেই,শিক্ষা নেই! রাজ্যজুড়ে (West Bengal) চাকরি নেই কোথাও। তাই এবার বদনাম ঘোচাতে রাজ্যের শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীদের মুখে হাসি ফোটাতে চলেছে রাজ্য। এই কারণেই এবার রাজ্যের শিল্পবিহীন জেলা দক্ষিণ-দিনাজপুরে আজ থেকে প্রায় চার বছর আগে চারটি শিল্প পার্ক গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।
রাজ্যের (West Bengal) এই জেলায় হবে বিপুল কর্মসংস্থান
গত বিধানসভা ভোটের মুখে ওই জেলায় চারটি শিল্পের ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপর যদিও প্রতিশ্রুতির বাস্তব রূপায়ণ দেখা যায়নি। বছর ঘুরলেই আবার রাজ্যে (West Bengal) আসছে ২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। এরই মাঝে এবার এই শিল্প পার্ক নিয়ে এল বড় আপডেট। জানা যাচ্ছে, অবশেষে দীর্ঘ ৪ বছর পর ২০২৪ সালে ওই জমিতে শিল্পের পরিকাঠামোর জন্য টেন্ডার করা হয়েছিল। বালুরঘাট শহর লাগোয়া পশ্চিম রাজনগরে প্রায় ছয় একর জমিতে এবার এই কাজ শুরু করেছে প্রশাসন।
রিপোর্ট বলছে, ৮ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা ব্যয় করে আপাতত ওই ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ সেন্টারের পরিকাঠামগত কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। দীর্ঘদিন ধরেই ওই জমি খালি পড়েছিল। অবশেষে মুখ তুলে চেয়েছে প্রশাসন। তাই এবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় শিল্প পার্ক অর্থাৎ ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ সেন্টারের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিকে শিল্প হলে এলাকায় বাড়বে কর্মসংস্থান। তাই আপাতত খুশির হাওয়া জেলাজুড়ে।
আরও পড়ুন: ‘রাজ্যে BJP আসছে, শুধু সময়ের অপেক্ষা’, দিল্লি জয়ের পর টার্গেট বাংলা! বিরাট মন্তব্য সৌমিত্র খাঁ-র
প্রসঙ্গত কোন শিল্প নেই, বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ রয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। যার ফলে নেই কোন কর্মসংস্থানেরও সুযোগ। তবে এবার সেই বদনাম ঘুচতে চলেছে। ওই জেলার (West Bengal) ছেলেমেয়েরা সাধারণত শিল্প ক্ষেত্রে বা অন্য কোন বিভাগের কাজের জন্য ভিন জেলার বা রাজ্যে পাড়ি দেয়। এতদিন পর্যন্ত ওই জেলায় শিল্প স্থাপনের দাবি জানানো হলেও কোন লাভ হয়নি।
বাম আমলেও বালুরঘাটের রায়নগরে ওই শিল্প পার্ক স্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছিল। যদিও তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। এরপর বিধানসভা ভোটের আগে সেই ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক স্থাপনের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ঘোষণা মত এবার শিল্পপার্কের কাজের সূচনা হয়েছে। শিল্পের অভাবে এতদিন এলাকা থেকে বহু মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে বাইরে যেত। তবে এবার নিজেদের এলাকায় কাজ পেলে আর বাইরে যেতে হবে না কাউকে। এইভাবেই আগামীদিনে ওই এলাকায় বাড়বে কর্মসংস্থানের সুযোগও।