বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রত্যেক সফল ব্যক্তির সফলতার পেছনে রয়েছে এক অদম্য জেদ এবং হার না মানা লড়াইয়ের কাহিনি (Success Story)। যেই কাহিনি উদ্বুদ্ধ করে বাকিদেরকেও। বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন একজনের সফলতার সফর উপস্থাপিত করব যাঁর সম্পর্কে জেনে অবাক হবেন প্রত্যেকেই। শুধু তাই নয়, মাত্র ২৬ বছর বয়সেই তিনি সাফল্যের এক নজির তৈরি করেছেন। কলেজে পড়াকালীন একটা সময়ে তিনি সুইগি এবং উবার ইটসের হয়ে ঘরে ঘরে খাবার ডেলিভারি করতেন। কিন্তু, করোনার মতো ভয়াবহ মহামারীর সময়ে সেই কাজটিও চলে যায়।
জিতের সাফল্যের কাহিনি (Success Story):
আর তারপরেই তিনি নেন ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার সিদ্ধান্ত। আর এই সিদ্ধান্তই বদলে দেয় তাঁর জীবন। আসলে, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে জিৎ শাহের বিষয়ে জানাবো। যিনি অত্যন্ত কম বয়সেই সিম্পেক্স স্কুল প্রাইভেট লিমিটেডের ভিত্তি স্থাপন করেন। সেখানে তিনি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের বিভিন্ন কৌশল শেখাতে শুরু করেন। আর এইভাবেই তিনি এখন পৌঁছে গিয়েছেন সফলতার শিখরে (Success Story)।
পড়াশোনার সময়ে পার্টটাইম জব: জিৎ শাহের সফলতার কাহিনি নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত করবে সবাইকে। ১৯৯০ সালের ৩ জুন গুজরাটের সুরেন্দ্রনগরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। জিৎ পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম কাজও করেন। তিনি সকালে কলেজে যেতেন, বিকেলে খাবার সরবরাহ করতেন এবং রাতে নিজের কেরিয়ারের পরিকল্পনা করতেন। নিজের লক্ষ্য পূরণের (Success Story) জন্য তিনি প্রথম থেকেই কঠোর পরিশ্রম শুরু করেন।
করেছেন ফুড ডেলিভারির কাজ: জিৎ ২০২১ সালে আহমেদাবাদের এলডি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে তাঁর ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। কলেজের দিনগুলিতে সুইগি এবং উবার ইটসের জন্য ফুড ডেলিভারি এক্সিকিউটিভ হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি। সকালের ক্লাস এবং কাজের সান্ধ্যকালীন শিফটের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার সময়ে তিনি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রতি আকৃষ্ট ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে জিৎ শাহের প্রবেশের বিষয়টিও ছিল অত্যন্ত আকর্ষণীয়। ২০২০ সালে করোনা মহামারীর সময়ে লকডাউন জিতের জীবনে একটি উল্লেখযোগ্য মোড় নিয়েছিল। তাঁকে ফুড ডেলিভারির কাজ ছাড়তে হয়। কিন্তু, হাল ছাড়েননি তিনি। ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি ভালোভাবে সেটিকে দায়িত্ব পারেন। তাঁর এই নতুন দক্ষতা তাঁকে একটি ভালো চাকরি এনে দেয়। যা তাঁর কর্মজীবনে একটি নতুন মোড় নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: হয়ে যান সতর্ক! যাত্রীদের বড়সড় ঝটকা দিল রেল, দুর্ভোগ এড়াতে এখনই নিন জেনে
কোম্পানির ভিত্তি স্থাপন করেন: ২০২১ সালে, জিৎ শাহ সিমপেক্স স্কুল প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন। এটি ছোট ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে সাহায্য করে। মাত্র ১৮ মাসে তাঁর কোম্পানিতে ১ লক্ষেরও বেশি পড়ুয়া, উদ্যোক্তা এবং তরুণ পেশাদারদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। জিৎ ফেসবুক বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে সেলস ফানেল, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং লিড জেনারেশনের মতো ক্ষেত্রগুলিতে তাঁর দক্ষতা ব্যবহার করে অন্যান্যদের ব্র্যান্ড তৈরি এবং বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এই কোম্পানির মাধ্যমে তিনি এক লক্ষেরও বেশি মানুষকে ডিজিটাল মার্কেটিং প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: এক ম্যাচে একাই ১১ টি গোল! ফুটবল দুনিয়াকে চমকে দিল মেসি-পুত্র
সফল ইউটিউবার: জানিয়ে রাখি, জিৎ শুধু একজন সফল উদ্যোক্তাই নন, তিনি একজন সুপরিচিত ইউটিউবারও। জিৎ তাঁর ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে, ব্যবসা, পার্সোনালিটি ডেভেলপমেন্ট এবং ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। এই কারণে তারা বিপুল সংখ্যক সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। ২০২১ সালে, তিনি “কোচিং কিং” নামে একটি বইও লিখেছিলেন। আজ তিনি কোটি কোটি টাকা আয় করছেন। এমতাবস্থায়, জিতের এই সাফল্যের কাহিনি তাঁদের প্রত্যেকের কাছেই অনুপ্রেরণা হয়ে উঠবে যাঁরা বড় স্বপ্ন দেখার মাধ্যমে জীবনে কিছু করার মাধ্যমে সফল (Success Story) হওয়ার জন্য পরিশ্রম করে চলেছেন।