বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গার্হস্থ হিংসার মামলা মানেই অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি বিষয়। এবার এই সংক্রান্ত একটি মামলায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আজকের দিনেও আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রতিদিন গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হচ্ছেন অসংখ্য গৃহবধূ। কেউ সাহস করে সামনে এগিয়ে এসে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, আবার কেউ বছরের পর বছর ধরে চুপচাপ সব সহ্য করে যাচ্ছেন।
গার্হস্থ্য হিংসার মামলায় গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)
তবে, ‘মুদ্রার এপিঠ, ওপিঠ’-এর মতো এক্ষেত্রেও ব্যতিক্রমী ঘটনা দেখা যায়। তাই অনেক সময় আইনের অপব্যবহার করে করে থাকেন কেউ কেউ। যার ফলে বিনা অপরাধে অভিযুক্ত পক্ষের পরিবারের সদস্যদের এই সংক্রান্ত মামলায় অকারণ হেনস্থার মুখে পড়তে হয়। তাই গার্হস্থ হিংসার মামলায় এবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পর্যবেক্ষণ, মূল অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যদের অহেতুক যুক্ত করা যাবে না। আইনের সুর্নিদিষ্ট ধারায় অভিযোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে মামলাগুলিকে সংবেদনশীলতার সাথে দেখা উচিত । তেলেঙ্গানার একটি গার্হস্থ্য হিংসার মামলার শুনানিতে এই মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি বি ভি নাগারত্ন ও এন কোটিশ্বর সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চ। তেলেঙ্গানার এক মহিলা তার শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ তুলেছিলেন।
আরও পড়ুন: ভেঙে বললেন না কিছুই! সৌরভদের কারখানার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় শিল্পমহল
জানা যাচ্ছে, ওই মামলা থেকে অব্যহতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযুক্ত পক্ষের পরিবারের সদস্যরা। ওই রাজ্যের উচ্চ আদালতে সেই মামলা উঠতেই তা খারিজ হয়ে যায়। তারপর শীর্ষ আদালতে পাল্টা আপিল করেন ওই মামলায় অভিযুক্তের পরিবার। সেই মামলায় অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ওঠা ফৌজিদারি মামলা বাতিলের নির্দেশ দিয়ে এই মন্তব্য করেছে আদালত।
শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) বিচারপতি বি ভি নাগারত্ন ও এন কোটিশ্বর সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চে একটি গার্হস্থ্য হিংসা মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই বিচারপতিরা মন্তব্য করেন, গার্হস্থ্য হিংসা খুবই সংবেদনশীল মামলা। এই ধরনের মামলায় আবেগ ভীষণভাবে জড়িয়ে থাকে। শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা যাঁরা অভিযোগকারীকে বাঁচাতে আসেন না বা সব দেখেও চুপ থাকেন তাঁদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাঁরা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও অভিযোগ দায়ের সম্ভাবনা থেকেই যায়।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘গার্হস্থ্য হিংসা মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধারাগুলি যতদূর সম্ভব সুনির্দিষ্ট হওয়া উচিত। সবার বিরুদ্ধে কোনও বাছবিচার না করে মামলা দায়ের করলে আইনের অপব্যবহারের সম্ভাবনা থেকে যায়।’