বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েটদের মধ্যে একজন হলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। জেলার রাজনীতিতে কেষ্ট নামেই অধিক পরিচিত তিনি। গরু পাচার মামলায় গত বছর জামিন পেয়ে ফেরার পর থেকেই রাজনীতির আঙিনায় ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। এবার যেমন সরকার পোষিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে (Primary Schools) কীভাবে আরও বেশি সংখ্যক পড়ুয়া টানা যায়, সেই নিয়ে পরামর্শ দিলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে জানাবেন বললেন কেষ্ট (Anubrata Mondal)!
সম্প্রতি বীরভূম জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন এই দাপুটে তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা। সেখানেই এই বিষয়ে পরামর্শ দেন তিনি। এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকেও জানাবেন বলে আশ্বাস দেন কেষ্ট।
অনুব্রতর (Anubrata Mondal) কথায়, ‘ব্রাত্য বসুকে বলব কিছু কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একদমই পড়ুয়া নেই… কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ইংরেজি মিডিয়াম করে দিতে বলব। মনে হয় এটা করলে খুব ভালো হবে… প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মান যেমন করে হোক বৃদ্ধি করতে হবে। ওটাই আসল হাতেখড়ি। ছোটবেলায় আমরা বলতাম প্রাথমিক থেকে হাতেখড়ি। যাতে ওর মান উন্নত হয়… আমার যা বলার আছে, ব্রাত্যকেও বলব, দিদিকেও বলব’।
আরও পড়ুনঃ অবশেষে! দুটি কিস্তির বকেয়া DA মেটানো হবে সরকারি কর্মীদের! বড় ঘোষণা করল রাজ্য সরকার
বীরভূমের রাজনীতিতে অনুব্রত মণ্ডলের ভূমিকার কথা কারোর অজানা নয়। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর সেই দাপট খানিকটা হ্রাস পেলেও, গত বছর তিনি ফেরার পর থেকে ফের চোখে পড়ছে ‘কেষ্ট ম্যাজিক’। শুরুতে কয়েকটা দিন চুপচাপ থাকলেও, আস্তে আস্তে জেলার নানান স্তরে ফের তাঁর প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে অনুব্রত (Anubrata Mondal) বীরভূমে ফেরার পর থেকেই ফের শিরোনামে উঠে এসেছে সেখানকার রাজনৈতিক সমীকরণ। কয়েকদিন আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই তৃণমূল নেতা বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করেছিলেন। মঙ্গলকোট, আউশগ্রাম, কেতুগ্রাম দেখতে বলেছেন। বড়ঞা যেতে বলেছেন। উনি বলেন, ওখানে সব সংগঠন ভালো রয়েছে’। এবার রাজ্যের সরকার পোষিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে কীভাবে আরও বেশি করে ছাত্রছাত্রী টানা যায় সেই নিয়ে পরামর্শ দিলেন কেষ্ট। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে জানানোর আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।