বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২৬০০০ জনের ভাগ্যে কি আছে? এসএসসি ২০১৬ সালের প্যানেলের ক্ষেত্রে কি যোগ্য ও অযোগ্যদের পৃথকীকরণ কি সম্ভব? এই নিয়ে টানাপোড়েনের মাঝেই আবারও কি পরীক্ষা নেওয়া যায়? এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় (SSC Recruitment Scam) এমন প্রশ্নই উঠেছিল শেষ শুনানিতে। সোমবার ফের মামলাটি উঠবে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে। দুপুর ২টায় শুনানি শুরু হওয়ার কথা।
এর আগের দিন দীর্ঘক্ষণ শুনানি চললেও কোনো সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। গত ২৭ জানুয়ারি এই মামলার শেষ শুনানিতে মূল মামলাকারীদের হয়ে আদালতে জোড়ালো সওয়াল করেন তাদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, ফিরদৌস শামিমরা। বিকাশবাবু আবারও পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন। তার কথায়, পরীক্ষা নেওয়ার মাধ্যমেই যোগ্য ও অযোগ্যদের পৃথকীকরণ সম্ভব।
শীর্ষ আদালতে আইনজীবীর আবেদন ছিল, ২০১৬ সালে পরীক্ষায় যারা বসেছিলেন, বয়সের ঊর্ধ্বসীমা সরিয়ে তাদের ফের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হোক। যদিও ‘যোগ্য’ প্রার্থীদের বক্তব্য ছিল, দীর্ঘদিন ধরে তারা চাকরি করছেন। রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার জন্য আবার নতুন করে তাদের পরীক্ষায় বসতে হলে তা যথেষ্ট অমানবিক পদক্ষেপ হবে।
আরেক আইনজীবী ফিরদৌস শামিম সওয়াল করেন, “প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ৪ বার নিয়ম বিরুদ্ধ কাউন্সেলিং হয়েছে। নম্বরের বিভাজন ছাড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই বেনিয়মে ঠাসা।” এসএসসি-কে ৫০০ কোটি টাকা জরিমানা করার পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী।
আরও পড়ুন: হঠাৎ রাজ্যে একধাক্কায় বাতিল হয়ে গেল ১ লক্ষ রেশন কার্ড! বায়োমেট্রিক চালু হতেই যা হচ্ছে…
আজ ১০ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানি শেষ করবেন চিফ জাস্টিস। সবমিলিয়ে আপাতত অন্ধকারে ২৬ হাজার চাকরিপ্রাপকের ভবিষ্যৎ। উল্লেখ্য, গত বছর ১৮ এপ্রিল নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এসএসসি ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের এই রায় নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায় গোটা রাজ্যে। উচ্চ আদালতের রায়ে এক ধাক্কায় চাকরি যায় প্রায় ২৬০০০ জনের।
হাইকোর্টের রায়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার, এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলা উঠলে আপাতত সকলেরই চাকরি বহাল রাখা হয়েছে। সকলকে রক্ষাকবচ দিয়েছে আদালত। তবে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, দুর্নীতি প্রমাণ হলে শিক্ষকদের (ssc recruitment scam) চাকরি তো যাবেই পাশাপাশি ফেরত দিতে হবে বেতনও। সেই মামলাই এখনও ঝুলছে শীর্ষ আদালতে। আজ রাজ্য সরকার ও এসএসসি-র বক্তব্য শুনবেন প্রধান বিচারপতি। সকলের নজর রয়েছে সেদিকে।