বাংলার মুকুটে নতুন পালক! গুজরাতের ‘আমুল’ গড়ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ দই উৎপাদন কেন্দ্র

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলার (West Bengal) জন্য এবার কর্মসংস্থানের এক নতুন দিগন্ত খুলে দিতে চলেছে আমুল। সব ঠিক থাকলে আগামীদিনে বাংলার (West Bengal) বুকেই গড়ে উঠবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ দই উৎপাদন কেন্দ্র। প্রায় ৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে হাওড়ার সাঁকরাইল ফুড পার্কে এই ইন্টিগ্রেটেড ইউনিট গড়ে তুলবে গুজরাট কো-অপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশন (জিসিএমএমএফ)।

বাংলাতেই (West Bengal) গড়ে উঠবে সর্ববৃহৎ দই উৎপাদন কেন্দ্র

গুজরাটের এই সংস্থার কায়ারা ডিস্ট্রিক্ট কো-অপারেটিভ মিল্ক প্রোডিউসার্স ইউনিয়ন লিমিটেডের মাধ্যমে এই বিনিয়োগ করা হবে। কলকাতার বুকে দুদিন ব্যাপী চলতে থাকা বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন চলাকালীন জিসিএমএমএফের এই ঘোষণা রাজ্যের শিল্পবান্ধব পরিস্থিতির জন্য বড় ইঙ্গিত বলে মনে করছে শিল্প মহল।

জানা যাচ্ছে, বাংলায় (West Bengal) প্রস্তাবিত আমুলের ইন্ডিকেটর ইউনিটের একটি বড় অংশ জুড়ে থাকবে বিশেষ সর্ববৃহৎ দই উৎপাদন কেন্দ্রটি।  সংস্থার এমডি জয়েন মেহতা জানিয়েছেন সামগ্রিকভাবে প্রত্যেকদিন ১৫ লক্ষ লিটার দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ সম্পন্ন এই ইউনিট গড়ে তুলতে খরচ হবে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। এই ইউনিটে প্রতিদিন ১০ লক্ষ কেজির দইও উৎপাদন করা যাবে।

ভোজন রসিক বাঙালির কাছে বিশেষ করে মিষ্টিপ্রেমীদের কাছে দই অত্যন্ত প্রিয় মিষ্টি। তবে জনপ্রিয়তার নিরিখে মিষ্টি দই এগিয়ে থাকলেও এই রাজ্যে টক দইয়ের চাহিদাও নেহাত কম নয়। প্রশাসনিক মহলের দাবি বাংলায় এই ইউনিট চালু হওয়ার ব্যাপারে দইয়ের এই চাহিদা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে।

Amul milk

রিপোর্ট বলছে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) আমুলের ১০ লক্ষ লিটারের বেশি দুধ বিক্রি হয়। এর মধ্যে রাজ্যের ১৪ টি জেলায় প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার মহিলাকে নিয়ে কাঁচামাল সংগ্রহের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে আমুল। এবার হাওড়ায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় দই উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তোলা গেলে এই নেটওয়ার্ক আরও মজবুত হবে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের। 

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর