জাস্ট ২০ টাকা বিনিয়োগ করুন! কোটিপতি হবে আপনার সন্তান! অবাক লাগছে? দেখুন কীভাবে সম্ভব

বাংলাহান্ট ডেস্ক : চাকরি পরবর্তী অবসর জীবন সুনিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) এনপিএস বা ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম হতে পারে সেরা বিকল্প। ৬০ বছর বয়সের পর থেকে নিশ্চিত রোজগারের গ্যারান্টি দেয় NPS। দীর্ঘদিন ধরে কম্পাউন্ডিং হতে থাকা বিনিয়োগকৃত অর্থ একটা সময়ে তৈরি করে বড় তহবিল।

কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) সেরা প্রকল্প

তবে ২০২৪ সালে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government) শিশুদের জন্যও শুরু করে এনপিএস বাৎসল্য স্কিম। অভিভাবকরা সন্তানের জন্মের পর তার ছেলে বা মেয়ের নামে খুলতে পারেন এনপিএস বাৎসল্য স্কিম অ্যাকাউন্ট। শিশুর বয়স ৬০ বছর পেরোলে এনপিএস বাৎসল্য স্কিমে তৈরি হবে বড় পরিমাণের তহবিল।

আরোও পড়ুন : মাত্র একটা শটেই রেকর্ড! প্রোমোতেই বড় দাঁও মারল জি এর সিরিয়ালের প্রোডাকশন

অবসর গ্রহণের পর শিশুর যাবতীয় খরচের অন্যতম সেরা মাধ্যম হতে পারে এই এনপিএস ফান্ড। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ২০২৪ সালের বাজেটে এনপিএস বাৎসল্য স্কিমের ঘোষণা করেন। সেই বছরই সেপ্টেম্বর মাসে এই স্কিম লঞ্চ করা হয় সরকারের তরফে। যদি দৈনিক ২০ টাকা করে এনপিএস বাৎসল্য স্কিমে জমানো যায় তাহলে তৈরি হতে পারে বড় মাপের তহবিল।

আরোও পড়ুন : জ্যোতিপ্রিয়র জামিন নিয়ে ED-কে বিরাট পরামর্শ শুভেন্দুর! জোর শোরগোল রাজ্যে

ধরে নেওয়া যাক, কোনো শিশুর জন্ম ১লা জানুয়ারি, ২০২৫। সেই শিশুটি যখন ৬০ বছর পূর্ণ করবে তখন NPS ফান্ড থেকে কত টাকা পাবে সেই হিসাব দেখে নেওয়া যাক এক নজরে। NPS ফান্ডে দৈনিক ২০ টাকা করে জমালে বাৎসরিক বিনিয়োগের পরিমাণ হবে ৭ হাজার ৩০০ টাকা। শিশুটির বয়স ১৮ বছর পূর্ণ করলে তৈরি হবে মোট ৪ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার তহবিল।

Central Government national pension scheme

১২% হারে ৬০ বছর পর তহবিলের পরিমাণ নিয়ে দাঁড়াবে ৬ কোটি ১০ লক্ষ ৮৮ হাজার ১৩৮ টাকায়।এনপিএস বাৎসল্যর নিয়ম অনুযায়ী, ১৮ বছর পর স্কিমের ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া যায়। তবে সেই টাকা না তুলে যদি কম্পাউন্ডিং করা হয় তাহলে ৬০ বছর পর মিলবে আরো ভালো রিটার্ন।বাৎসরিক ১০ শতাংশ হিসাবে রিটার্ন  এলেও ৬০ বছর পর তৈরি হবে ২ কোটি ৪৩ লক্ষ ৬৯ হাজার ৫৭৬ টাকার তহবিল।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর