বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিধাননগর জুড়ে বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং-এর ছড়াছড়ি। এই হোর্ডিং সরানোর জন্য মামলা গড়িয়েছে আদালতে (Calcutta High Court)। প্রশাসনের হিসেবে বিধাননগর সল্টলেক এলাকায় মোট ১৩৫টি হোর্ডিং থাকা উচিত। সেখানে এই মুহূর্তে হোর্ডিং-এর সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে প্রায় আড়াই হাজার। যার ফলে সামাজিক অসুবিধার শিকার হচ্ছেন বহু সাধারণ মানুষ।
বেআইনি হোর্ডিং নিয়ে বিরাট নির্দেশ হাইকোর্টের (Calcutta High Court)
আগেই এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সোমবার ওই মামলাতেই বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। জানা যাচ্ছে, মামলাকারী এবং বিজ্ঞাপন সংস্থার সঙ্গে এক সপ্তাহের মধ্যেই মিটিং করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া ওই মিটিংয়ে কি আলোচনা হয়েছে সেই তথ্যও আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: এক কাঠার কম জমিতেও স্বপ্নের বাড়ি তৈরি করতে পারবেন! নয়া সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার
বিধাননগর এলাকা জুড়ে বেআইনি হোর্ডিং লাগানোর অভিযোগে আগেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল ওই মামলাতেই গত বছরের নভেম্বর মাসে সমস্ত বেআইনি হোর্ডিং খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। অভিযোগ আদালতের সেই নির্দেশের পরেও খোলা হয়নি সিংহভাগ বেআইনি হোর্ডিং।
অতীতে এই নিয়ে আদালতে কড়া পর্যবেক্ষণের মুখে পড়েছিল বিধাননগর পুরনিগমন। ক্ষুব্ধ বিচারপতি এদিন বললেন, ‘মনে হচ্ছে ইচ্ছে করেই বেআইনি হোর্ডিং খুলতে পদক্ষেপ করেনি পুরসভা। মাত্র দু’টি এজেন্সি পুরসভাকে কর দিয়ে হোর্ডিং লাগিয়েছে। বাকি শতাধিক ক্ষেত্রে পুরসভাকে কোনও কর দেওয়া হয়নি।’ এবার এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সময় বেঁধে দিয়েছে আদালত। একই সাথে বিধাননগর পুরনিগমকে বলা হয়েছে মিটিং-এ কি আলোচনা হল সেই তথ্যও বিস্তারিত আদালতে জমা দিতে হবে।