বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে তোলপাড় রাজ্য। শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির জেরেই জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ বহুজনা। এদিকে সমতলের পাশাপাশি পাহাড়েও ভয়ঙ্কর নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছিল। সেই নিয়ে মামলা চলছে হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। এবার জিটিএ নিয়োগ দুর্নীতি (GTA Recruitment Scam) সংক্রান্ত মামলায় সিআইডি রিপোর্ট দেখে ক্ষুব্ধ বিচারপতি।
হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য – Calcutta High Court
গত বছর জানুয়ারি মাসে জিটিএ-তে নিয়োগ কারচুপি নিয়ে অভিযোগ তুলে একটি বেনামি চিঠি সামনে আসে শিক্ষা দফতরে। শিক্ষা দফতর সেই চিঠি ডিআইজি, সিআইডিকে ও ভিজিলেন্স কমিশনকেও পাঠায়। সেই চিঠিতে অভিযুক্ত হিসেবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিনয় তামাং, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ হাবড়ার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা বুবাই বোস, স্কুল পরিদর্শক প্রাণগোবিন্দ সরকার-সহ রাজন্যা হালদারের স্বামী প্রান্তিক চক্রবর্তীরও নাম ছিল।
সোমবার সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলে কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানেই এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বিচারপতি জানিয়েছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, বিনয় তামাংদের চাইলে রাজ্য ক্লিনচিট দিতে পারে। এদিকে রাজ্যের আইনজীবী জানান, এই নিয়োগে কোনও অপরাধ নেই। পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে। আদালত চাইছে, যাদের নাম সামনে এসেছে, তাদের রাজ্য জিজ্ঞাসাবাদ করুক।
বেনামি ওই চিঠিটি ‘ভীষণ ডেঞ্জারাস’ বলে উল্লেখ করে ক্ষুব্ধ বিচারপতি রাজ্যের উদ্দেশে বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিনয় তামাংদের নাম এফআইয়ার-এ আসার পর কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে? ‘আমি জানতে চাই, রাজ্যের উদ্দেশ্য কী? কী চাইছে রাজ্য সরকার?
আরও পড়ুন: অবশেষে রাজি হয়ে গেলেন কালীঘাটের কাকু! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়! এবার ফাঁস হবে সব?
জানা গিয়েছে এফআইয়ার-এ নাম থাকা সত্ত্বেও অভিযুক্তদের কাছে এখনও পর্যন্ত কোনও নোটিস পাঠায় নি রাজ্য। এই নিয়েই রাজ্যের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে জাস্টিস বসু বলেন, নাম থাকা একজনকেও নোটিস পাঠানো হয়নি। বিগ জিরো। এরপরই পরবর্তী শুনানিতে সিবিআই-এর সিনিয়র আইনজীবীকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আগামী সোমবার মামলার শুনানি রয়েছে।