একের পর এক দুর্ঘটনার জের! কলকাতা-দিল্লি পথে এবার বড় পদক্ষেপ রেলের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত কয়েক বছরে একের পর এক রেল (Indian Railways) দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে দেশবাসী। অনেকের কাছেই এখন রেল যাত্রা আতঙ্কের অন্যতম নাম হয়ে উঠেছে। এহেন পরিস্থিতিতে যাত্রী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আসছে স্বয়ংক্রিয় ট্রেন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ‘কবচ’। ইতিমধ্যেই কবচের পরিকাঠামো তৈরির কাজ চলছে দিল্লি-মুম্বই এবং দিল্লি-কলকাতা রেলপথে।

ভারতীয় রেলের (Indian Railways) বড় পদক্ষেপ

প্রাথমিকভাবে পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ মার্চ মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, আরো আধুনিক প্রযুক্তি ও সুরক্ষার নিশ্চয়তার জন্য ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার মিলিন্দ দেউস্কর জানিয়েছিলেন, তিন মাসের মধ্যে পূর্ব রেলের (Eastern Railway) এলাকায় কবচ প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ শুরু হবে।

আরোও পড়ুন : আরজি কর মামলায় বড় খবর! এবার খোদ CBI-এর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ! জোর শোরগোল

দিল্লি-কলকাতা এবং দিল্লি-মুম্বই রেলপথে অত্যাধুনিক  ‘কবচ ৪.০’ প্রযুক্তি বসানোর পাশাপাশি লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে ১০ হাজার রেল ইঞ্জিনেও চলতি বছরের মধ্যে এই প্রযুক্তি যুক্ত করার। রেলওয়ের লক্ষ্য আগামী ছয় বছরের মধ্যে দেশের প্রত্যেকটি রেলপথকে এই প্রযুক্তির আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা।

আরোও পড়ুন : জাতীয় স্তরে উজ্জ্বল বাংলার মুখ! ১০ বছরে বেড়েছে উচ্চশিক্ষায় ভর্তি, চমকে দেবে কেন্দ্রের রিপোর্ট

‘কবচ ৪.০’ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি অত্যন্ত সহায়ক হয়ে উঠতে চলেছে যাত্রী নিরাপত্তার জন্য। একই লাইনে যদি দুটি ট্রেন এসে পড়ে তাহলে কবচ প্রযুক্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করবে এবং প্রয়োজনে ব্রেক কষে থামিয়ে দেবে ট্রেন (Train)। ইঞ্জিন ছাড়াও রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (আরএফআইডি) ট্যাগ বসানো হবে রেললাইনের ধারে।

Indian Railways action to prevent accident

এই ব্যবস্থার মাধ্যমে রিয়েল টাইম ট্রেনের অবস্থান সম্পর্কে অবগত থাকা যাবে। রেলের (Indian Railways) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তি বসানোর জন্যই সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যেই দিল্লি-কলকাতা এবং দিল্লি-মুম্বই রেলপথে চালু হয়ে যাবে কবচ প্রযুক্তি।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর